গ্রীষ্মের ফল লিচু। বাজারে এখন পাকা লিচু পাওয়া যাচ্ছে। আধাপাকা বা কাঁচা লিচু খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকেরা। পাকা লিচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হলেও কাঁচা লিচু বা আধাপাকা লিচু শরীরের অনেক ক্ষতি করে এমনকি মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘কাঁচা অপরিপক্ব লিচুতে টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন উপাদান থাকে। যার বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু ঘটতে পারে।’ তবে পাকা লিচু শরীরের সুস্থতা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা দিতে পারে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা লিচুতে আছে, জলীয় অংশ ৮৪ দশমিক ১, খাদ্যশক্তি ৬১ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ১৩.

৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ গ্রাম এবং ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম।

আরো পড়ুন:

মানসিক চাপ তৈরি হয় কেন

পদত্যাগ করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও ডা. মাহমুদুল

উপকারিতা সমূহ: 
লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। লিচুতে থাকা ফ্ল্যাভানয়েডস নামের উপাদান স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমায়। লিচুতে থাকা পটাসিয়াম রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 
অপকারিতা সমূহ:
লিচুতে আছে হাইপোগ্লাইসিন। এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরের শর্করা কমে যায়। এর প্রভাবে বমি ও খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগী অতিরিক্ত লিচু শরীরের শর্করা (গ্লুকোজ) কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল

এছাড়াও পড়ুন:

৩ দাবিতে রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন

বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী অ্যাকাডেমিক ভবনের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময় তারা ‘বিভাগ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগ সংস্কার’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

চবির হলে পাওয়া আসন স্থগিত করায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবিতে শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৪ জনের শাস্তি, ৬ জনের মুক্তি

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার করতে হবে, যাতে বিষয়টির স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়; পিএসসি ও ইউজিসিতে ফোকলোর বিষয়ের নাম সংযুক্ত করে কোড প্রদান নিশ্চিত করতে হবে; ১ মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল এবং নির্ধারিত সময়ে ক্লাস রুটিন প্রকাশ করতে হবে।

বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়া শুভ বলেন, “ফোকলোর একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বিভাগ। ফোকলোর নিয়ে মানুষের একটা ভুল ধারণা আছে।  ফলে আমরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে যাচ্ছি। ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তন করতে হবে। আমরা অনেকদিন থেকেই বিভাগের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি।”

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এসএন শোভা বলেন, “ফোকলোর বিভাগ ছিল কলা অনুষদের অধীনে। পরবর্তীতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে আনা হয়। কিন্তু বাইরে কোথাও বললে আমাদের বিভাগের নাম শুনে কেউ বুঝে না, আমরা কোন অনুষদের শিক্ষার্থী। বিভাগের এই নামের জন্য আমাদের চাকরির বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।”

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম সংস্কার বা পরিবর্তের দাবিতে আন্দোলন করছে। এজন্য গত মঙ্গলবার (২০ মে) অ্যাকাডেমিক সভায় আমরা অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান ও সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটি সুপারিশ করে একটা লিখিত সিদ্ধান্ত দেবেন।”

তিনি আরো বলেন, “সভাপতি হিসেবে আমি শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে। এই দাবির একটা বাস্তবসম্মত উপায় নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এর আগেই কেনো শিক্ষার্থীরা অনশন করছে, তা আমার জানা নেই।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ