লিচু খাচ্ছেন, এই ফলের ভালো-মন্দ জেনে নিন
Published: 22nd, May 2025 GMT
গ্রীষ্মের ফল লিচু। বাজারে এখন পাকা লিচু পাওয়া যাচ্ছে। আধাপাকা বা কাঁচা লিচু খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকেরা। পাকা লিচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হলেও কাঁচা লিচু বা আধাপাকা লিচু শরীরের অনেক ক্ষতি করে এমনকি মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘কাঁচা অপরিপক্ব লিচুতে টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন উপাদান থাকে। যার বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু ঘটতে পারে।’ তবে পাকা লিচু শরীরের সুস্থতা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা দিতে পারে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা লিচুতে আছে, জলীয় অংশ ৮৪ দশমিক ১, খাদ্যশক্তি ৬১ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ১৩.
আরো পড়ুন:
মানসিক চাপ তৈরি হয় কেন
পদত্যাগ করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও ডা. মাহমুদুল
উপকারিতা সমূহ:
লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। লিচুতে থাকা ফ্ল্যাভানয়েডস নামের উপাদান স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমায়। লিচুতে থাকা পটাসিয়াম রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অপকারিতা সমূহ:
লিচুতে আছে হাইপোগ্লাইসিন। এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরের শর্করা কমে যায়। এর প্রভাবে বমি ও খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগী অতিরিক্ত লিচু শরীরের শর্করা (গ্লুকোজ) কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: ওয়েবএমডি
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের রিকশাচালক ছেলে আল আমিনকে (২৬) আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য জানান।
রবিবার (২২ জুন) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হন হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে ওই ব্যক্তি।
নিহত হাফিজ উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করা হাফিজ উদ্দিন বার্ধক্যজনিক কারণে ভিক্ষা করতে শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
জামিনে মুক্তি পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া খুন
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, রাত দেড়টার দিকে পাশের রুমের বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, নিহতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায়, রুমের ভেতরে নিহত বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। পাশেই তার ছেলে বসে আছেন।
ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে করলে, তিনি তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ছেলে জানায়, তারা বাবা ভিক্ষা করে এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। নিষেধ করলেও মানছিলেন না তিনি। এ কারণে গলাটিপে এবং খাটের সঙ্গে মাথা থেতলে বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ