বন্দর থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক খন্দকার হাতেম হোসাইন (৫২) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শুক্রবার (২৩ মে) বেলা ১টায় ঢাকা পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মরহুম খন্দকার হাতেম হোসাইন  বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার মৃত  আব্দুর মজিদ খন্দকারের  ছেলে।

সে দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিক্স ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন  রোগে ভূগছিলেন।  মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ ছেলেসহ বহু আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন তিনি।

 মরহুমের নামাজের জানাযা শুক্রবার বাদ এশা জাঙ্গাল  ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর  স্থানীয়  কবরস্থানে দাফন সম্পর্ন  করা হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট 

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের অপসারণ ও সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহন শ্রমিকরা। 

এর আগে গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

এদিকে, ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি। তবে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সকল ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সে কারণে নগরীতে ধর্মঘটের প্রভাব তেমনটা পড়েনি। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড় ও মদিনা মার্কেট এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। 

তবে, স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে যানবাহন সংখ্যায় অনেক কম। এতে করে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহনের অপেক্ষায় অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। 

অবশ্য এইচএসসি পরীক্ষার্থী, রোগী পরিবহনে সংশ্লিষ্ট যানবাহন ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা। 

সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, “সিলেটের গণপরিবহন-পণ্যপরিবহন ও পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিকরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই বিভিন্নভাবে বঞ্চিত অবহেলিত। আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের রোষাণলে পড়ে সিলেটের কোটি মানুষের নেমে আসে অবর্ননীয় দুর্ভোগ। সিলেটের সব পাথর কোয়ারি ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে লাখ লাখ কর্মহীন মানুষ। তারা কীভাবে জীবন ধারণ করবে?”

মইনুল ইসলাম জানান, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৬ ধারায় যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, তা মালিক-শ্রমিককে ধ্বংসের নীল নকশা। একইভাবে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া আরেক হয়রানী ও ষড়যন্ত্র। তাছাড়া গাড়ি তল্লাশির নামের পুলিশ ট্রাক শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে। এসবের প্রতিকার পেতে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার (৬ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর ৫ দফা দাবি উল্লেখ করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন পরিবহন নেতারা। ৫ দফা দাবির মধ্যে জেলা প্রশাসকের অপসারণের বিষয়টি ছিল না। পরে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবির কথা জানায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

৬ দফা দাবিগুলো হলো- সড়ক পরিবহণ আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহণের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার; 

সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।

ঢাকা/নূর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ