গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৮০০ ছাড়াল
Published: 24th, May 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার (২৩ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৫ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৩ হাজার ৮২২ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২২ হাজার ৩৮২ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
কূটনীতিকদের ওপর ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ ‘অগ্রহণযোগ্য’: ইইউ
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে স্পেনের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বন্দ্বের অবসান, শুটিংয়ে গড়াচ্ছে শুভ-সোহিনীর ‘লহু’
২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভ ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে নিয়ে ‘লহু’ ওয়েব সিরিজের ঘোষণা আসে। পরিচালনার দায়িত্ব পান পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাৎ থেমে যায় সিরিজটির শুটিং। তবে সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে ফের শুরু হচ্ছে ‘লহু’ সিরিজের শুটিং।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়েল-এর খবরে বলা হয়েছে, ডিরেক্টরস ফেডারেশনের নিয়ম না মেনে পরিচালক সিরিজটির শুটিং শুরু করেন। আর এর ফলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এরপর এই ঘটনা রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দেয় সমগ্র টালিউডে। অবশেষে সেসব জটিলতার অবসান ঘটেছে; মনোমালিন্য পেরিয়ে ফের পুরোনো ছন্দে ফিরছে ‘লহু’।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ভারতীয় কর্মকর্তা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিচালক রাহুল জানিয়েছেন, ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় সমস্যার মীমাংসা হয়েছে।
রাহুল বলেন, ‘স্বরূপদা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি সহযোগিতা করেছেন বলেই আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারছি।’
অনিন্দ্য বলেন, ‘আমাদের দিক থেকেও কিছু ভুল ছিল, যা স্বরূপদা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন ফের শুরু করছি ‘লহু’, পাশাপাশি চরকির আরও কিছু প্রজেক্টও পরিকল্পনায় রয়েছে।’
২০২৩ সালে শেষ দিকে ভারতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। এরপর ‘লহু’ ওয়েব সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা প্ল্যাটফর্মটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতাদের ফেডারেশনের কিছু নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে থমকে যায় প্রজেক্টটি। সেসব ঝামেলা কাটিয়ে ফের শুটিং গড়াচ্ছে সিনেমাটি।