আইইএলটিএস রিডিং পরীক্ষায় এক ঘণ্টায় সব প্রশ্নের উত্তর করার উপায়
Published: 25th, May 2025 GMT
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রচলিত নিরীক্ষণপদ্ধতি ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম বা আইইএলটিএসের লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং অংশের মধ্যে রিডিং অংশ অনেকের কাছে তুলনামূলক কঠিন মনে হয়। রিডিং অংশের পরীক্ষা এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পারেন না অনেকে। ফলে রিডিংয়ের তিনটি প্যাসেজের মধ্যে সবগুলোর উত্তর না দিয়ে অনেককে মন খারাপ করে পরীক্ষার হল থেকে বের হতে হয়। রিডিং পরীক্ষার ৪০ নম্বরের সঠিক উত্তর কীভাবে এক ঘণ্টার মধ্যে করা যাবে, আজ সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো। আশা করি এসব পরামর্শ অনুসরণ করলে রিডিং পরীক্ষা নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।
পরামর্শ নয়, দক্ষতা দরকারআপনি যদি ইউটিউব বা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রিডিং পরীক্ষা নিয়ে পরামর্শগুলো দেখেন তাহলে খেয়াল করবেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরাও এ রকম টোটকা পরামর্শ খুব পছন্দ করেন। রিডিংয়ে ভালো করার দক্ষতা নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তেমন উপকৃত হন না।
আইএলটিএস টিপস বেজড পরীক্ষা নয় বরং এটি একটি স্কিল বেজড পরীক্ষা। কাজেই আপনাকে রিডিং মডিউলে ভালো করার জন্য সেই স্কিলগুলো জানতে হবে, যে স্কিলের টেস্ট হয় এক্সামে। যেমন আইইএলটিএস পরীক্ষার কিছু সাধারণ স্কিল হচ্ছে স্ক্যানিং, স্কিমিং, ইনটেনসিভ রিডিং, সামারাইজ মেইন আইডিয়া, আইডেন্টিফাই দ্য মেইন আইডিয়া ইত্যাদি।
আরও পড়ুনযে ১০ বিদেশি ভাষা শিক্ষা উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে এগিয়ে রাখবে আপনাকে১৬ এপ্রিল ২০২৪স্ক্যানিংস্ক্যানিং হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বিষয় খোঁজা। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট বিষয় খুঁজতে বললে তাঁরা প্যাসেজ পড়া শুরু করেন। আপনি যদি খোঁজার পরিবর্তে পড়া শুরু করেন তাহলে সময় নষ্ট হবে। কাজেই যে কোয়েশ্চন টাইপে স্ক্যানিং করতে বলে সেই প্রশ্নের উত্তর করতে হলে আপনাকে আপনার স্ক্যানিং স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।
যেমন ধরুন প্রশ্নে আপনাকে যদি একটি রোগের নাম খুঁজতে বলে, আপনি প্যাসেজে গিয়ে পড়া শুরু করলে তবে কি আপনি আপনার সময় অপচয় করছেন না! আপনাকে যা করতে হতো তা হলো, আপনি দ্রুত প্যাসেজে গিয়ে রোগের নামটি খুঁজে ফেলবেন।
ইনটেনসিভ রিডিংছোটবেলা থেকে আমরা যে রিডিং পড়েছি তাকেই ইনটেনসিভ রিডিং বোঝানো হয়। ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড এবং লাইন বাই লাইন বুঝে বুঝে ট্রান্সলেট করা বা এর অর্থ বুঝে পড়া। আর রিডিং বলতে আমরা শুধু এই ইনটেনসিভ রিডিং স্কিলই বুঝি। অন্য কোনো ধরনের রিডিং যে থাকতে পারে, তা আমরা মাথায় আনতে চাই না।
প্রথম আলো ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হচ্ছে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অনেকের শারীরিক অবস্থা দ্রুত জটিল হয়ে পড়ছে। আগের মতো সহজভাবে মোকাবিলা করার পর্যায়ে নেই এই ভাইরাস। ধরন বদলেছে এর। এতে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপ হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ)। গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৬ জন। আর জুলাই মাসের ৯ দিনে মশাবাহিত এ রোগে প্রাণ গেছে ১০ জনের, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গতকালের সভায় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহায়ক বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে– আটটি পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ২১টি বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিন ও ১ হাজার ৬০০ পিস কিট।
ডা. আবু জাফর বলেন, পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম ও বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিনের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি। এসব যন্ত্র থাকলে দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়, যা চিকিৎসা কার্যক্রমকে গতিশীল করে এবং জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে ১৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে চারজন করে, রাজশাহী বিভাগে দু’জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে মৃত একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। পাশাপাশি এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগে– ৯৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮, ঢাকা বিভাগে ৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬, খুলনা বিভাগে ৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩১, রংপুর বিভাগে ৫, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ এবং সিলেট বিভাগে দু’জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৩১৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭৪ জন, ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪৩ জন।