অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ‘মহিষের বাথান’ আখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
Published: 25th, May 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ অর্থনৈতিক অঞ্চলই খালি পড়ে আছে—মহিষের বাথান হয়ে গেছে। অর্থাৎ সেখানে মহিষ চরে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে জমি অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু বিনিয়োগকারী সেখানে যাচ্ছেন না। এর অন্যতম প্রধান কারণ বন্দরের কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা নেই।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে পুঁজিবাজার প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত এক সংলাপে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ‘সিএমজেএফ টক উইথ শফিকুল আলম’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
অনুষ্ঠানে শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যে সময় শেষ হবে, সেই সময় বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। এটার একটা কারণ হচ্ছে, সরকার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের বড় ধরনের সংস্কার (ডিপ রিফর্ম) করতে চাচ্ছে। বিশ্বের সব বড় কোম্পানি যেন চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা করতে পারে, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না। বন্দরের টার্মিনালের উন্নত ব্যবস্থাপনা যেন নিশ্চিত হয় এবং সেখানে বিনিয়োগ আসে, আমরা সেই কাজটি করছি। এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের (৩ বিলিয়ন) নিশ্চয়তা পেয়েছি। অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে তারা (বিদেশি কোম্পানি) এই অর্থ বিনিয়োগ করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো গন্তব্য বিশ্বে আর নেই বলে দাবি করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন, বাংলাদেশকে উৎপাদনকেন্দ্র (ম্যানুফ্যাকচারিং হাব) হিসেবে তৈরি করতে। কিন্তু এর মূল শর্ত হচ্ছে, সবার আগে বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘বন্দরকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি আমাদের কাছে নেই। আমাদের সে–বিষয়ক অভিজ্ঞতা নেই, দক্ষতাও নেই। সে জন্য বিদেশের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি। দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, এপি মোলার মেয়ার্সক, পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটির সঙ্গে কথা বলছি। তারা এলে আমাদের বন্দরের দক্ষতা বাড়বে।’
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে রাজস্ব আয় বাড়ানো। সে লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা রাজস্ব আয় বাড়াতে পারিনি বলে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে পারছি না। আপনি যদি শেখ হাসিনার আমলটা দেখেন, তাহলে দেখবেন, গত এক দশকের মধ্যে বিধবা ভাতা ৫০০ টাকাই রয়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম যখন ৭০ টাকা ছিল, তখন একজন ৫০০ টাকা ভাতা পেতেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার সময় ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ১২০ টাকা, তখনো ভাতা ছিল ৫০০ টাকা। সুতরাং রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
আগামী জুন মাসে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রায় ১৫০ জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘চীনের বিনিয়োগকারীরা লো কস্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে পৃথিবীতে সেরা। তারা এত দক্ষ যে ইউরোপীয় বা উত্তর আমেরিকানরা চীনাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। ফলে চীনারা বাংলাদেশে এলে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ত্বকচর্চায় ঘরেই বানান কোরিয়ান ফেসপ্যাক
কোরিয়ানদের স্বচ্ছ ত্বক অনেকের কাছেই বিস্ময়। বিউটি ট্রেন্ডে তাই কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের রাজত্ব চলছে কয়েক বছর ধরে। নতুন নতুন সব স্কিন ট্রেন্ড তৈরিতে তাদের জুড়ি নেই। তবে বাজারচলতি কোরিয়ান স্কিন কেয়ার যেমন দামি তেমনি পণ্যে থাকা নানা রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। তাই অনেকেই এখন ঘরোয়া উপায়ে কোরিয়ান স্টাইলে তাদের মতো গ্লাস স্কিন পেতে আগ্রহী। জেনে অবাক হবেন দুটি সাধারণ উপাদান দিয়েই ঘরেই তৈরি করতে পারেন কার্যকর একটি কোরিয়ান ফেসপ্যাক, যা ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল, মসৃণ ও তরতাজা।
ফেসপ্যাক তৈরির উপকরণ
চালের গুঁড়ো ২ চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল
কীভাবে বানাবেন?
প্রথমে অ্যালোভেরা পাতার কেটে জেল সংগ্রহ করুন (যদি তাজা ব্যবহার করেন, নাহলে দোকান থেকে কিনেও ব্যবহার করতে পারেন)। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে অ্যালোভেরা জেল ও চালের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। যতক্ষণ না এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশে যাচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করুন। চাইলে ফ্রিজে রেখে কয়েক মিনিট ঠান্ডা করে নিতে পারেন, এতে ত্বকে আরও সতেজতা অনুভব হবে।
ব্যবহার পদ্ধতি
এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার আগে মুখ ও ঘাড় পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার তৈরি করা ফেসপ্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে সমানভাবে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে প্যাকটি শুকিয়ে যায়। এরপর সামান্য পানি দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে নিয়ম করে অন্তত ২-৩ দিন এই ফেসপ্যাক ব্যাবহার করুন উজ্জ্বল ত্বক।
এই ফেসপ্যাকের উপকারিতা কী?
এই ঘরোয়া ফেসপ্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। চালের গুঁড়ো ত্বক স্ক্রাব করে এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বককে মসৃণও করে।
এছাড়া ত্বকের রোদে পোড়া ও কালচে ভাব কমায়, স্কিন টোন ব্রাইট করতে সহায়তা করে।