যাত্রা শুরুর মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হোম ডেলিভারি সেবা চালু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ক্যারিবি’।  প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ই-কমার্স ও এফ-কমার্স উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘ক্যারিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুর রহিম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা যেন ডেলিভারি নিয়ে নয়, বরং ব্যবসা নিয়ে ভাবতে পারেন—এই লক্ষ্যেই আমাদের যাত্রা।’

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে ঢাকার বাইরে যেখানে এয়ারপোর্ট সুবিধা রয়েছে, সেখানে ‘মিড-মাইল’ পর্যায়ে পণ্য পরিবহনে ‘এয়ার কার্গো’ ব্যবহৃত হচ্ছে। শিগগিরই নির্দিষ্ট জেলাগুলোর মধ্যে একইদিনে আন্তঃজেলা হোম ডেলিভারি চালু করার প্রস্তুতি চলছে। ভবিষ্যতে দেশের বাইরেও পণ্য পাঠানোর লক্ষ্যে ক্রস-বর্ডার এক্সপানশন পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ১২০টিরও বেশি নিজস্ব পরিবহন, শতাধিক হাব এবং প্রতিদিন ৫০ হাজার পার্সেল প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা। পাশাপাশি, ৭০০ জন দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিক সেবা দেওয়ার কথা বলছে।

এতে বলা হয়, ‘ক্যারিবি’র সেবার মধ্যে রয়েছে দ্রুত হোম ডেলিভারি, লাইভ পার্সেল ট্র্যাকিং, ক্যাশ অন ডেলিভারি, শতভাগ নিরাপত্তাসহ রিটার্ন ও এক্সচেঞ্জ সুবিধা এবং মাল্টি-স্টোর পিকআপ সেবা। উদ্যোক্তাদের জন্য থাকছে কাস্টমাইজড পেমেন্ট সিস্টেম ও ডায়নামিক প্রাইসিং সুবিধা।

ক্যারিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি কেবল একটি কুরিয়ার সেবা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি স্বচ্ছ, সহজ ও কার্যকর ‘লজিস্টিক পার্টনার’ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর

গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।

নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।

হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ