ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের উপকূলের কাছে বিপজ্জনক পণ্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজটিতে মোট ৬৪০টি কনটেইনার ছিল, যার মধ্যে ১৩টি কনটেইনারে ‘অনির্দিষ্ট বিপজ্জনক পদার্থ’ ও ১২টিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ছিল।

এছাড়াও, জাহাজের ট্যাংকে ছিল ৮৪ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল ও ৩৬৭ দশমিক ১ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল।

স্থানীয় জেলেদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের মানচিত্র শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর

আসামে অবৈধ বাংলাদেশি সন্দেহে দেড় শতাধিক আটক, জনতার বিক্ষোভ

লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ‘এমএসসি এলসা ৩’ রবিবার (২৫ মে) ভোরে কেরালার উপকূল থেকে প্রায় ৩৮ নটিক্যাল মাইল দূরে আরব সাগরে ডুবে যায়। এটি ভারতের দুই বন্দর— ভিঝিনজাম ও কোচির মধ্যকার রুটে চলাচল করছিল।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী তেল ছড়িয়ে পড়া শনাক্ত করতে সক্ষম একটি প্লেন এবং একটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।

এই দুর্ঘটনার ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজে থাকা ২৪ জন ক্রুকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জনগণকে উপকূলে ভেসে আসা কোনো কনটেইনার স্পর্শ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, জেলেদের দুর্ঘটনাস্থলের কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর

গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।

নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।

হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ