ভারতের উপকূলে বিপজ্জনক পণ্যবাহী জাহাজডুবি, সতর্কতা জারি
Published: 27th, May 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের উপকূলের কাছে বিপজ্জনক পণ্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজটিতে মোট ৬৪০টি কনটেইনার ছিল, যার মধ্যে ১৩টি কনটেইনারে ‘অনির্দিষ্ট বিপজ্জনক পদার্থ’ ও ১২টিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ছিল।
এছাড়াও, জাহাজের ট্যাংকে ছিল ৮৪ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল ও ৩৬৭ দশমিক ১ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল।
স্থানীয় জেলেদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের মানচিত্র শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
আসামে অবৈধ বাংলাদেশি সন্দেহে দেড় শতাধিক আটক, জনতার বিক্ষোভ
লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ‘এমএসসি এলসা ৩’ রবিবার (২৫ মে) ভোরে কেরালার উপকূল থেকে প্রায় ৩৮ নটিক্যাল মাইল দূরে আরব সাগরে ডুবে যায়। এটি ভারতের দুই বন্দর— ভিঝিনজাম ও কোচির মধ্যকার রুটে চলাচল করছিল।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী তেল ছড়িয়ে পড়া শনাক্ত করতে সক্ষম একটি প্লেন এবং একটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।
এই দুর্ঘটনার ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজে থাকা ২৪ জন ক্রুকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জনগণকে উপকূলে ভেসে আসা কোনো কনটেইনার স্পর্শ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, জেলেদের দুর্ঘটনাস্থলের কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ