নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করার ঘটনাকে গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নেতিবাচক উদাহরণ ও পশ্চাদপসরণ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, এই শিক্ষককে বদলি করার মাধ্যমে নারীর বাক্‌স্বাধীনতাকে অস্বীকার এবং নারীকে নিজ অধিকার আদায়ের কথা বলার বিরুদ্ধে অদৃশ্য ভীতি প্রদর্শন করা হলো।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তাঁরা সরকারের কাছে নাদিরা ইয়াসমিনের বদলি আদেশ স্থগিত করার আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারীকে হেনস্তা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ।

বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, একটি উগ্র নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী নারীর স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা দিয়ে মব সহিংসতা করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নারীর সুরক্ষা এবং মর্যাদা রক্ষায় কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বিবৃতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫–এর খসড়ায় নারী কোটা না রাখাকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেছে মহিলা পরিষদ। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন পেশাসহ সব কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ গ্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, সরকারকে নারীর মানবাধিকার ও ন্যায্যতার বিষয়ে সংবেদনশীল হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ