এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।
এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।
ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুখে না বলেও পুরুষেরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেন
১. তাঁরা নিয়মিত পাশে থাকেন
যেসব পুরুষ নীরবে গভীরভাবে ভালোবাসেন, তাঁরা ভালোবাসার মানুষের শুধু ভালো সময়ে নয়; প্রয়োজনের মুহূর্তে, ব্যস্ততম দিনে, এমনকি ঝামেলার মধ্যেও পাশে থাকেন।
প্রিয়জনের পরীক্ষা, ভাইভার দিন কিংবা চাকরির ইন্টারভিউয়ের মুহূর্তে তিনি প্রথমেই মনে রাখেন, বার্তা দেন, ‘চিন্তা কোরো না, তুমি পারবে।’
প্রিয় মানুষটি যদি ব্যস্ত থাকেন, তিনি বিরক্ত হন না; বরং শান্তভাবে বলেন, ‘তোমার কাজটা আগে করো, পরে কথা হবে।’
ডেটে যাওয়ার মতো বড় পরিকল্পনা না থাকলেও তিনি চেষ্টা করেন সপ্তাহে অন্তত এক দিন সময় বের করে দেখা করতে। যেমন কোনো ফুচকার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে মিনিট দশেক আড্ডা অথবা হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা।
প্রিয়জনের পরিবারের বিপদ-আপদে দেখবেন ঠিকই তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় কোনো সভা-সমাবেশ থাকলে আগেভাগেই জানিয়ে সতর্ক করে দেন। ভালোবাসা কিন্তু এক দিনের বড় রোমান্টিক মুহূর্তে নয়; বরং এ রকম ছোট ছোট যত্নের মধ্যেই গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিক পাশে থাকা ধীরে ধীরে বিশ্বাস তৈরি করে।
আরও পড়ুনএই ৫ প্রশ্নে বুঝবেন, আপনাদের ভালোবাসা কতখানি গভীর০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. তাঁরা ছোট ছোট বিষয় মনে রাখেনযেসব পুরুষ নীরবে ভালোবাসেন, তাঁরা প্রিয়জনের ছোট ছোট বিষয় কখনোই ভুলে যান না। এসব খুঁটিনাটি তাঁদের কাছে গুরুত্ব পায়; কারণ, আপনি তাঁর কাছে বিশেষ একজন। যেমন প্রিয়জন সকালে চা না খেলে মাথা ধরে, তাই তিনি নিয়মিত জিজ্ঞেস করেন, ‘চা খেয়েছ?’কোন দোকানের লাচ্ছিটা প্রিয়জন বেশি পছন্দ করেন, তা তিনি মনে রাখেন, সুযোগ পেলে নিয়ে আসেন। ওষুধ বা প্রয়োজনীয় কিছু সময়মতো খাওয়ার কথা তিনি মনে করিয়ে দেন।
প্রিয়জন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চাইলে গুরুত্ব দিয়ে উত্তর দেন