এমন একটি শব্দ ভাবুন, যেটিকে প্রায় সব অনুভূতির একক প্রকাশ বলা যেতে পারে। না, ‘ভালোবাসি’ কিংবা ‘দুঃখিত’ নয়। বরং প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, সমর্থন, প্রশংসা এমনকি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান বা দ্বিমতের মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেও অবলীলায় ব্যবহার করতে পারেন সেই শব্দ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ধন্যবাদ।
এই যে শব্দটি খুঁজে পেয়েছেন বলে আপনাকে যে ধন্যবাদ জানানো হলো, এটা প্রশংসাসূচক ধন্যবাদ। এবার উল্লিখিত অন্যান্য অনুভূতির সঙ্গেও মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন কী দারুণ মিলে যায়। তবে সন্দেহ নেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। একটিমাত্র শব্দ, সহজ ও সরল। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সর্বাধিক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’কে মানুষের চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি মনে করি যে ধন্যবাদ তথা কৃতজ্ঞতা হলো চিন্তার সর্বোচ্চ রূপ এবং কৃতজ্ঞতা এমন এক আনন্দ, যা বিস্ময়ে দ্বিগুণ হয়’। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আনন্দ কেবল মামুলি আনন্দ মাত্র নয়। এ যেন সত্য, সুন্দর ও মহানুভবতার বিস্ময়কর ও সশ্রদ্ধ অভিজ্ঞতা।
ছোট্ট একটি ধন্যবাদ, একটুখানি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাবোধের প্রভাব বিপুল ও সুদূরপ্রসারী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘জায়েদ খান’ চরিত্রে ইমরান হাসো
নোয়াখালী অঞ্চল ও ভাষাকে কেন্দ্র করে নির্মিত ফ্যান্টাসিমূলক দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ এর সম্প্রচার শুরু হয়েছে গ্লোবাল টিভিতে। অরণ্য আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত এই সিরিজ দেখা যাচ্ছে প্রতি শনিবার থেকে মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।
সিরিজটিতে নোয়াখালীর প্রাচীন মিথ, লোককথা ও জনপ্রিয় ফ্যান্টাসিকে আধুনিক গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে নতুনভাবে। রয়েছে—‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ নামের নভোযান, চাঁদে নোয়াখালীর বুড়ির কাহিনি, এমনকি ‘নোয়াখালী স্বাধীন দেশ’ হলে ইউরোপের মতো সমৃদ্ধ হওয়ার কল্পগাথা—সব মিলিয়ে এক অভিনব ও ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা।
আরো পড়ুন:
‘খুকুমণির’ বিয়ে
রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!
ধারাবাহিকে রাজশাহীর ছেলে ‘জায়েদ খান’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতা ইমরান হাসো। গল্পে দেখা যায়—প্রেমিকা তাকে ছেড়ে ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে সেলিব্রিটি হয়ে ওঠার পর তাকে খুঁজতে রাজশাহী থেকে নোয়াখালীতে ছুটে যায় জায়েদ। আর নোয়াখালী পৌঁছানোর পর তার জীবনে ঘটতে থাকে মজার ও হাস্যরসাত্মক ঘটনা।
জনপ্রিয় নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারের নাটকে কাজ করার ইচ্ছে ছিল ইমরান হাসোর। তিনি বলেন, “অনেকে বলতেন তিনি নাকি রাগী বা কম কথা বলেন। কিন্তু কাজে নেমে দেখলাম, তিনি একদম শান্ত, অসাধারণ একজন মানুষ। প্রতিটি দৃশ্যে আমাকে প্রশংসা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এটি বড় পাওয়া।”
‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ দর্শকদের কাছে সতেজ ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরান হাসো।
মিডিয়ায় পরিচিত নাম ইমরান হাসো—যার প্রকৃত নাম এমরান হোসেন। নিয়মিত নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন ২৮টি সিনেমায়। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র—শান, সুলতানপুর, লাল শাড়ি, জ্বীন ৩, বেহুলা দরদী (সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত)।
তার অভিনীত নাটকের সংখ্যা ৫০০–এর বেশি। জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে—বকুলপুর, অচিনপুর, গোলমাল, স্বপ্ন আড্ডা, রূপনগর, আদম, নাইটগার্ড, মফিজ এখন ঢাকায়, শূন্য পৃথিবী, তোফাজ্জলের শেষ ভাত, স্যার যেখানে মেডাম সেখানে প্রভৃতি।
১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ইমরান হাসো। থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন এবং একই বিষয়ে মাস্টার্স করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজকর্মেও সক্রিয় ইমরান হাসো। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান। শিল্পীদের ভালোবাসায় অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত