সরকার ভ্যাট আইন সংশোধন করে বিস্কুটসহ বেকারি ও কনফেকশনারি পণ্যের ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। আগে এসব পণ্যের ওপর থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা হতো। নতুন করে সেই হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিস্কুটসহ প্রায় সব ধরনের বেকারি ও কনফেকশনারি পণ্যের দাম বাড়বে। আর দাম বাড়লে তাতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবেন সীমিত আয়ের মানুষ। 

দেশজুড়ে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানেও আমাদের বিস্কুট বিক্রি হয়। সর্বনিম্ন ৫ টাকা দামের বিস্কুটও রয়েছে আমাদের। এসব বিস্কুটের বড় ভোক্তাশ্রেণি খেটে খাওয়া সীমিত আয়ের মানুষ। এখন বাড়তি ভ্যাটের কারণে এই ধরনের বিস্কুটের দাম বাড়লে তা এসব মানুষকে চাপে ফেলবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর বেকারিসহ বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর পাশাপাশি তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে বাড়তি এই ভ্যাট ক্রেতার ওপর চাপাতে পারব না। কারণ, এরই মধ্যে পরিবেশকদের মাধ্যমে আমরা বহু পণ্য বাজারে ছেড়েছি। যার একটি বড় অংশ হয়তো পরিবেশকদের হাতে রয়েছে। আবার কারখানায়ও উৎপাদিত পণ্যের মজুত রয়েছে। তাই আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বেকারি পণ্যের দাম কতটা বাড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।  এনবিআর গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পণ্যের নতুন ভ্যাট হার নির্ধারণ করেছে। এনবিআরের সেই তালিকা ধরে চলতি সপ্তাহে আমরা প্রভাব পর্যালোচনা করে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। 

বেকারি ও কনফেকশনারি পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে মুনাফার হার খুবই কম থাকে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরনের পণ্য তৈরিতে কাঁচামাল ও মানের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করে না। তাই উৎপাদন খরচ কমিয়ে পণ্যের দাম কমানোর সুযোগ খুবই সীমিত। আমরা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মার্জিনে কম দামি বেকারি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে থাকি। এ কারণে এত দিন এই ধরনের পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত ছিল। এখন তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় ভ্যাট হার বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা না হলে পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।    

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।

জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ