সাইফুল ইসলামের জমানো শত শত ট্রেনের টিকিটে মিশে আছে রেলওয়ের ইতিহাস
Published: 11th, January 2025 GMT
সাইফুল ইসলামের ধানমন্ডির বাসায় ঢুকেই থতমত খেতে হলো। সোফার ওপর অ্যালবামবন্দী বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাম্প আর টেবিলে পুরোনো সব নথি। ড্রয়িংরুমজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে নানা জিনিস। মনে হচ্ছিল, দলিল–দস্তাবেজের মহাফেজখানায় ঢুকে পড়েছি। চেয়ারে বসতে বলে সত্তর ছুঁই ছুঁই মানুষটা জানালেন, আমরা আসব বলেই একটু গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর নানা রকম সংগ্রহ থেকে শুধু ট্রেনের টিকিটগুলোই সামনে রেখেছেন। আমরা অবশ্য সেই আলামত ভালোমতোই টের পেলাম রুমের শোকেস, আলমারি আর ট্রাংক দেখে!
সাইফুল ইসলামের বেড়ে ওঠা বাগেরহাটে। সেখানকার সরকারি পিসি (প্রফুল্লচন্দ্র) কলেজে পড়াশোনা করে ঢাকায় থিতু হয়েছেন চার দশক। একসময় ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। ডাকটিকিট সংগ্রহের শখ ছিল। তা থেকেই ১৯৮৯ সালের দিকে নথিপত্র সংগ্রহের নেশা পেয়ে বসে।
দেশ-বিদেশের সংগ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
চানখাঁরপুল আর মতিঝিলের পুরোনো কাগজের দোকানগুলো একসময় সাইফুল ইসলামের নিয়মিত গন্তব্য হয়ে ওঠে। সাইফুল ইসলামের ভাষায়, ‘আমার সংগ্রহের ৯৯ পারসেন্ট জিনিসপত্র ভাঙারির দোকান থেকে পেয়েছি। এমনও সময় গেছে, দিনের পর দিন এসব দোকানে পড়ে থেকেছি। কাগজের স্তূপ থেকে খুঁজে নিয়েছি দুর্লভ অনেক কিছু।’
বছর কয়েকের মধ্যেই দোকানিদের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের সখ্য হয়ে যায়। কোনো কিছু সংগ্রহযোগ্য মনে হলে দোকানিরাই আলাদা করে রেখে দিতেন। এভাবেই ১৯৯৫ সাল থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ শুরু করেন। পুরোনো কাগজের দোকান ছাড়াও বিভিন্ন সময় স্টেশনে গিয়ে গিয়েও ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করেছেন সাইফুল ইসলাম। তাঁর সংগৃহীত শত শত টিকিটে মিশে আছে এই অঞ্চলের রেলওয়ের ইতিহাস।
১৯৫৩ সালের টিকিট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রুটের সেঞ্চুরিতে বেঁচে গেলেন হেইডেন, ধন্যবাদ জানালেন হেইডেনের মেয়ে
আর যা–ই হোক, অ্যাশেজে ইংরেজ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি দেখে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের অন্তত খুশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ঘটল ঠিক সেটাই! ব্রিসবেন টেস্টে গতকাল প্রথম দিনে জো রুটের সেঞ্চুরি দেখে ম্যাথু হেইডেনের নিজেকে ‘খুব সুখী মানুষ’ মনে হয়েছে!
হেইডেন নিজেই অ্যাশেজ কিংবদন্তিদের একজন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ টেস্টে ৫৮.৯৩ গড়ে ১৪৬১ রানে ৫টি সেঞ্চুরি আছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ওপেনারের। সাধারণ দর্শক না হয় খুশি হতে পারেন, তাই বলে হেইডেনের মতো একসময়ের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো অস্ট্রেলিয়ানের রুটের সেঞ্চুরিতে খুশি হওয়ার রহস্য কী?
আসলে রহস্য তো একটা আছেই। সেটা বেশ মজার ঘটনাও। গত মাসে ‘অল ওভার বার দ্য ক্রিকেট’ পডকাস্টে একসময়ের সতীর্থ গ্রেগ ব্লিউয়েট এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ক্রিকেটার জেমস ব্রাইশকে হেইডেন বলেছিলেন, ‘এই গ্রীষ্মে সে (রুট) যদি সেঞ্চুরি না পায় আমি নগ্ন হয়ে এমসিজিতে হাঁটব।’
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের এবারের সফরে পার্থে প্রথম টেস্ট পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৯ ইনিংসে সেঞ্চুরি ছিল না রুটের। ইংল্যান্ড দলের এবারের সফরের আগে হেইডেন রুটের পক্ষে ব্যাট ধরতে গিয়ে অমন কথা বলেছিলেন। সেই কথা এত সহজে সবার ভুলে যাওয়ার কথা নয়। রুট পার্থ টেস্টে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে না পারার পরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেইডেনকে অনেকে তাঁকে সেই প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তার একটা জায়গা তো ছিলই।
কিন্তু ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টে গতকাল প্রথম দিনে রুট সেঞ্চুরি করে হেইডেনকে মুক্তি দেন অনর্থ ঘটে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে।
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ম্যাথু হেইডেন