বান্দরবানের আলীকদম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৫৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। তাঁদের সঙ্গে আটক করা হয়েছে আলীকদমের স্থানীয় পাঁচ বাসিন্দাকে। বিজিবি জানিয়েছে, আটক স্থানীয় বাসিন্দারা পাচারকারী চক্রের সদস্য। আজ শনিবার ভোরে আলীকদমের নয়াপাড়া ইউনিয়নের বুসিরমুখ এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে একটি ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল।

আটক স্থানীয় বাসিন্দারা হলেন উপজেলার দক্ষিণ নয়াপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫), বাজারপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৫), নয়াপাড়ার সোনা মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন (২৭) ও মৃত আনু মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম (৫৭) এবং চৈক্ষ্যং এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবু হুজাইফা (৩২)।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-৫৭ ব্যাটালিয়নের জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) মো.

আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আলীকদম বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে চার কিলোমিটার দূরের বুসিরমুখ এলাকা থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ৫৮ রোহিঙ্গা ও ৫ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা বিজিবি সদস্যদের জানিয়েছেন, তাঁরা আলীকদম সীমান্তের ৫৬ ও ৫৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি মেনচং ম্রো পাড়া এলাকার সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছেন।

বিজিবি ৫৭ ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা বলেছেন, তাঁরা আটক হওয়া আলীকদমের স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আটক ব্যক্তিদের আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা জহির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করা হচ্ছে। আটক স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। একই সঙ্গে পাচারের শিকার হিসেবে ওই মামলায় পাঁচ রোহিঙ্গাকেও আদালতে হাজির করা হবে। এই পাঁচ রোহিঙ্গার বিষয়ে আদালত করণীয় নির্ধারণ করবেন। অন্য রোহিঙ্গাদের নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত দিয়ে বিজিবির পুশব্যাক করার কথা রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্রস্ট ব্লাস্ট টি-২০: রানার্স-আপ বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রস্ট ব্লাস্ট টি-২০ সিজন-২ এর ফাইনাল ম্যাচ। 

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাছে ২৭ রানে হেরে রানার্স-আপ হয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স। ২১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ভালো শুরু করলেও মাঝের ওভারে ছন্দ হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স।

২১৬ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫১ রান তুলেছিল স্ট্রাইকার্স। কিন্তু মিডল ওভারে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ে রানের গতি কমে আসে। শেষ দিকে অধিনায়ক শেহজাদ আকবর সোবহান ৬ বলে ১৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও স্টাম্পিং হয়ে ফিরে গেলে স্ট্রাইকার্সের জয়ের আশা নিভে যায়।

ওপেনার খালেদ মাসুদ খেলেন ২৩ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে মো. সুমন আহমেদের ব্যাট থেকে। তাপস ঘোষ ২৩ বলে ৪০ রান করেন। তবে তাদের লড়াই সত্ত্বেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্ট্রাইকার্স থামে ৭ উইকেটে ১৮৯ রানে। ফলে ২৬ রানে জয় তুলে নেয় মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স। নতুন বলে শেহজাদ আকবর সোবহান ও বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম চাপ ধরে রাখেন শুরু থেকেই। পঞ্চম ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শাহনিয়ান। একাদশ ওভারেও আরেকটি উইকেট নিয়ে তিনি শেষ করেন ৪ ওভার, ১৮ রানে ২ উইকেটের চমৎকার স্পেল। শেহজাদ সুযোগ তৈরি করলেও ফিল্ডারদের হাত ফসকে যায় কয়েকটি ক্যাচ। শেষ পর্যন্ত তার ৪ ওভারে খরচ হয় ৪৯ রান। তিন ওভারে ৪০ রানে তিন উইকেট নেন জনি।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইনিংস গড়ে ওঠে ওপেনার নীপুর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তিনি ৪৬ বলে ৮৫ রান করেন। উইকেটকিপার ব্যাটার নিলয় আহসান যোগ করেন ২৭ বলে ৪১ রান, তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। শেষ দিকে সায়ুম মাহমুদ মাত্র ৬ বলে ২৩ রান করে দলকে নিয়ে যান বড় স্কোরে।

নির্ধারিত ২০ ওভারে মার্কেন্টাইল ব্যাংক তোলে ৫ উইকেটে ২১৫ রান। জবাবে লড়াই করেও ২৬ রানে হেরে রানার্স-আপ হয়েই ফিরতে হয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্সকে।

ঢাকা/তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ