নব্বই দশকের শুরুতে রুপালি জগতে পা রাখেন চিত্রনায়িকা শাবনূর। একসময় তাকে নিয়ে স্বপ্নের সুতো বুনতেন অসংখ্য তরুণ। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। মাঝে কয়েক সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিলেও সেসব সিনেমার অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।

শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করেন। অভিনয়ে না থাকলেও দূর দেশ থেকে ফেসবুকে দেখা দেন এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে নিজের বেশ কটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন শাবনূর। এসব ছবি দেখে তার ভক্তদের অনেকে প্রশংসা করেন, কেউ কেউ তার পোশাক নিয়ে সমালোচনাও করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই অভিনেত্রী।

শাবনূর তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লেখার শুরুতে এ অভিনেত্রী বলেন, “অনেকে হয়তো জানেন, আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করি, কোনো অ্যাডমিন নিয়োগ দেইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব‍্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোনো আনন্দ-বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি।”

আরো পড়ুন:

‘তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি’

এফডিসিতে শুটিং ফেরাতে নানা উদ্যোগ, থাকছে শর্ত

শাবনূরের পোশাক নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি, সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি, কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তুলেন। অস্ট্রেলিয়াতে আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর কে কি পরবে সেটাতো তার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না!”

বাজে মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়ে শাবনূর বলেন, “যদি আমার শেয়ারকৃত কোনো কিছু কারো ভালো না লাগে, তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার একটিভিটিস কারো পছন্দ না হয়, তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।”

শাবনূরের নাম ভাঙিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ব্যবসা করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শাবনূর বলেন, “যারা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন তারা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোস্ট করা ছবি/ভিডিও নিয়ে ব‍্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ‍্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব‍্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভণ্ডামি করছেন কেন? কেনইবা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন?”

ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে সুচিত্রা সেন পুরোপুরি আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। তার উদাহরণ টেনে সম্প্রতি নেটিজেনদের অনেকে শাবনূরকে আড়ালে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে শাবনূর বলেন, “এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হা হা হা…। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাব, না প্রকাশ্যে থাকব তা আমি বুঝব।”

কাউকে নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে শাবনূর বলেন, “অন‍্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার-ব্যবহার, কথা বলার ভাষা; এইসব ব‍্যাপারগুলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সবাই ভালো থাকবেন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময় দেশপ্রেমিক কর্মকর্তারা গুম খুন হয়েছেন’

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক অফিসার শহীদ হয়েছেন। দেশপ্রেমিক কর্মকর্তারা গুম, খুন, জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। 

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেক্সাস ডিফেন্স ও জাস্টিস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতা ছিল না। বিবেকবান মানুষের জীবন ছিল কারাগারের মত। এ সময়ে গুম, খুন, গণহত্যা, সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার সবকিছুই ছিল নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা।  

সভায় বক্তারা বিগত স্বৈরাচার আমলে (২০০৯-২০২৪) অন্যায়ভাবে জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার এবং চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। পাশাপাশি গুম, খুন ও বরখাস্তের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি চান তারা। 

নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জানান চৌধুরী।  বক্তব্য দেন, অধ্যাপক তাজ হাশমী, সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ার, কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ