রাহুল গান্ধীর তোপের মুখে আরএসএসপ্রধান
Published: 15th, January 2025 GMT
কংগ্রেস নেতা ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীর তোপের মুখে পড়লেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নতুন সদরদপ্তর উদ্বোধনের দিন গতকাল রাহুল বলেন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে যে মন্তব্য সংঘপ্রধান করেছেন, অন্য দেশ হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতো, বিচারের মুখোমুখি করা হতো। খবর এনডিটিভির।
রাহুল বলেন, মোহন ভাগবত দেশবাসীকে অপমান করেছেন, অসম্মান করেছেন। সংবিধানের অমর্যাদা করেছেন এই মন্তব্য করে, সংবিধান আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক নয়। গত মঙ্গলবার ইন্দোরে এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালে নয়, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে যেদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
ওই দিনই দেশের সার্বভৌমত্ব নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাগবতের ওই মন্তব্য ঘিরে বিরোধীরা মঙ্গলবারই সরব হয়েছিলেন। বুধবার সকালে ৯/এ কোটলা রোডে কংগ্রেসের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের পর রাহুল তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে সরব হন।
রাহুল বলেন, দু-তিন দিন অন্তর মোহন ভাগবত ভারতের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নিজের ভাবনার কথা শোনাচ্ছেন। মঙ্গলবার তিনি যা বলেছেন, তা দেশদ্রোহ। কারণ, তিনি দেশের সংবিধানকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। অস্বীকার করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে মিশুকচালকের মরদেহ ধানখেত থেকে উদ্ধার
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক মিশুকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিশুক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা যানবাহনটি নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মুক্তাগাড়ি বিল এলাকার মাহাবুব মণ্ডলের ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নুরুল ইসলাম পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা (গোবিন্দপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে।
নিহত নুরুল ইসলামের ভাতিজা ও মিশুকের মালিক রুমেলের বরাতে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় নুরুল ইসলাম মিশুক নিয়ে বের হন। রাত আটটার দিকে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ১৫০ টাকার রিজার্ভ ভাড়ায় হরিণসিংহ বাজার এলাকায় যাচ্ছেন। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন মুক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে কাটা ধানের জমিতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের গলায় মাফলার প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিশুক ছিনতাইয়ের জন্য চালককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।