কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁঞার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে আদালত চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারী ইন্ধনদাতা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ২০ আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার আইনজীবী সমিতির সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়।

ব্যানারে দেওয়া ওই ২০ আইনজীবী হলেন, ইউনুস ভূঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, আবদুল মমিন ফেরদৌস, আমজাদ হোসেন, আনিসুর রহমান মিঠু, মাসুদ সালাউদ্দিন, গোলাম ফারুক, আতিকুর রহমান আব্বাসী, খোরশেদ আলম, জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ, জহিরুল ইসলাম সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম ভূঁঞা, আমিনুল ইসলাম টুটুল, মজিবুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান, রেজাউল করিম, সৈয়দ নুরুর রহমান, কামরুজ্জামান বাবুল, জাহাঙ্গীর আলম ও রফিকুল ইসলাম হিরা।

এদের মধ্যে ইউনুস ভূঁইয়া জেলার লাকসাম উপজেলা পরিষদ এবং আমিনুল ইসলাম টুটুল আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্যরা জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

কুমিল্লা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে আওয়ামী আইনজীবীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাকারীদের বাঁচাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই দুঃসাহস কীভাবে হলো? জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা আদালতে ২০ চিহ্নিত আওয়ামী আইনজীবীর ছবিসহ ব্যানার টানানো হয়েছে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কুমিল্লায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন কর্মসূচি পালন করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুখ্য সংগঠক মোস্তফা জিহান, যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক মাহমুদ।

কক্ষে তালা দেওয়ার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁঞা রাতে সমকালকে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও বার কাউন্সিলের বিধান অনুসারে যে কোনো মামলার বাদী কিংবা আসামিকে আইনগত সহায়তা দিতে হয়। কোন অ্যাডভোকেট জুলাই গণহত্যার কোন আসামির পক্ষে আইনি লড়াই করেছে এর তালিকা তো আদালতে আছে। তার ভাষ্য, ‘জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়া যাবে না, এমন সরকারি প্রজ্ঞাপন তো এখনো আসেনি। সরকারি আদেশ আসলে সকল আইনজীবীই তা প্রতিপালন করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব জ হ ঙ গ র আলম ল ইসল ম র রহম ন আইনজ ব আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ

‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।

সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।

এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
  • রাজধানীতে পরপর তিন দিনে তিন জনসমাবেশ
  • বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা
  • ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা রুখে দেওয়া হবে: মামুনুল হক
  • ২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
  • শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ মির্জা ফখরুলের
  • ‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’
  • রাখাইনে করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হেফাজতের
  • ইয়েমেনে মার্কিন হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ইরানের
  • নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি