জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর থেকে কোর্স কারিকুলাম সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি একটি সভা করেছে। তারা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষে মতামত সংগ্রহ করে একটি বিজ্ঞানসম্মত, বাংলাদেশের উপযোগী এবং গ্রহণযোগ্য একটি কারিকুলাম প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে। এর ভিত্তিতে তারা একটি প্রস্তাব তৈরি করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের একটা কথা আসছে, অনেক চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। ৪৫, ৪৬ ও ৪৭ এই তিন বিসিএসের মাধ্যমে ৪৫০, ১৬৮২ এবং ১৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসক অভাবের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

তিনি জানান, চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে, সেটা হয়নি। গত ৫ মার্চ এ বিষয়টিকে পুনরায় বিবেচনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। এতে চিকিৎসকদের বিসিএস দেওয়ার বয়সসীমা ৩৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স এস চ ক ৎসক ব শ ষ ব স এস চ ক ৎসক ন য ব স এস র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন ডা. জাহিদ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে এখন থেকে একমাত্র দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করবেন।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেল তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব

তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন

পোস্টে বলা হয়, “সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য গণমাধ্যমে উপস্থাপন করবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।”

মিডিয়া সেল থেকে অযাচিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। পোস্টে আরো বলা হয়, “অতএব, অযাচিত, যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করুন।”

এই নির্দেশনার ফলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা অনানুষ্ঠানিক ও অসত্য তথ্য প্রচার হওয়ার সুযোগ কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত রবিবার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এই বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও রয়েছেন।

লন্ডন থেকে বেগম জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান সর্বক্ষণ মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগে সমন্বয় করছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি
  • খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানাবেন ডা. জাহিদ
  • খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মন্দিরে প্রার্থনা