Prothomalo:
2025-07-04@03:59:10 GMT

দেয়ালের সুরক্ষায় রং

Published: 13th, March 2025 GMT

রং যে কেবল দেয়ালকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে, তা কিন্তু নয়; বরং দেয়ালের সুরক্ষার জন্য চাই রং। মনের মতো রঙে আপনি অন্দর-বাইরের দেয়াল রাঙিয়ে নেবেন নিশ্চয়ই। তবে রং করানোর আগেই আপনাকে দেয়ালের সুরক্ষার দিকটি মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় মেনে চলা হলে বছরের পর বছর ধরে দেয়াল থাকবে অক্ষত। দেখাবেও চমৎকার।

মানবদেহের ভেতরটাকে সুরক্ষিত রাখতে আবরণ হিসেবে যেমন কাজ করে ত্বক, তেমনি দেয়ালের আবরণ হিসেবেও প্রয়োজন রং। দেয়ালের গড়ন সুরক্ষিত রাখতে ঠিকঠাক রং বেছে নিতে হবে আপনাকে। পরিবেশের স্বাভাবিক কিছু উপাদানের কারণে দেয়ালের ক্ষতি হতেই পারে। এই যেমন বাড়ির বাইরের দেয়ালে রোদ, বৃষ্টি ও বাতাসের আর্দ্রতার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা অন্দরের দেয়ালের জন্যও ক্ষতিকর। ভালো মানের রঙের প্রলেপ না থাকলে বাহির ও অন্দর—দুই জায়গার দেয়ালেই ছত্রাক জন্মাতে পারে। শৈবালও জন্মায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে। নানান রকম দাগছোপ পড়েও দেয়াল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এত সব দিক সামলাতে দেয়ালের রং কেমন হতে হবে, এ প্রসঙ্গে নানান পরামর্শ দিলেন সৃষ্টি আর্কিটেকচার অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি তাসনিম তূর্যি

রং করানোর আগে

* যে দেয়ালে আগে কোনো রং ছিল, নতুন রং করানোর আগে তা পুরোপুরি তুলে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

* নতুন-পুরোনো যেকোনো দেয়ালে রং করার আগে তা সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে ঘষে মসৃণ করে তুলতে হবে।

* প্রয়োজনে পুরোনো প্লাস্টারের প্রলেপ সরিয়ে দিয়ে নতুনভাবে প্লাস্টার করিয়েও নিতে হবে। দেয়ালের কোনো অংশ আর্দ্রতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই সেটির প্রতিকার করতে হবে রং করার আগে। এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নেওয়া ভালো। দেয়ালের ক্ষতির ধরন এবং মাত্রা অনুযায়ী তিনি পরামর্শ দেবেন।

* ভবিষ্যতে দেয়ালের স্যাঁতসেঁতে ভাব প্রতিরোধ করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত রং করানোর আগেই। রঙের আগে দেয়ালে প্রাইমার এবং সিলার ব্যবহার করলে তা স্যাঁতসেঁতে ভাব প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হলে দেয়ালে রং বসে যায় মসৃণভাবে। আর দেয়াল ভালোও থাকে দীর্ঘদিন।

কোন ধরনের রং বেছে নেবেন

* মানসম্মত, টেকসই রং ব্যবহার করুন বাড়ির বাহির এবং অন্দর দুই জায়গাতেই। তাহলে রং করানোর পর দেয়ালের যত্ন নেওয়ার জন্য বাড়তি ঝক্কি থাকবে না।

* বাইরের দেয়ালের জন্য এমন রং বেছে নিন, যা দেয়ালকে রোদ, বৃষ্টি, আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত রাখবে। আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষা দেবে এমন রং অন্দরের জন্যও ভালো।

* দাগছোপ বসে যায় না, এমন রং বেছে নিতে পারেন অন্দরের দেয়ালের জন্য। ময়লা লেগে গেলে সহজে পরিষ্কার করা যায়, এমন রং অন্দরের জন্য সুবিধাজনক। অ্যাক্রিলিক ইমালসন রং করানো হলে প্রয়োজনে দেয়াল পানি দিয়ে ধুয়েমুছেও নেওয়া যায়।

* মানবদেহের জন্য নিরাপদ রংও পাওয়া যায় এখন, যা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি করে না। বিশেষত রং করানোর সময় বাড়িতে শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি থাকলে এ ধরনের রং বেছে নেওয়া ভালো।

* রান্নাঘরের জন্য আগুনপ্রতিরোধী রং বেছে নিতে পারেন, দুর্ঘটনায় আগুন লেগে গেলেও তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম থাকবে।

রং করানোর পর

* একেবারে দেয়াল ঘেঁষে আসবাব না রাখাই ভালো।

* দেয়াল মোছার প্রয়োজন হলে পাতলা, সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।

* দেয়ালসজ্জায় এমন কোনো অনুষঙ্গ ব্যবহার করবেন না, যাতে পানি রয়েছে। দেয়ালসজ্জায় ব্যবহৃত সব অনুষঙ্গ নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

* রঙের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে দেয়াল স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়তে থাকে। দেয়ালের রং নষ্ট হতে শুরু করলে কিংবা স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা গেলে অবশ্যই নতুনভাবে রং করিয়ে নিন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য এমন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দাহ্য রাসায়নিক নিক্ষেপ, একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

যশোরে দাহ্য রাসায়নিকে শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

দগ্ধ তিনজন হলেন ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের জামাত হোসেনের মেয়ে রিপা খাতুন (২৬), স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) ও ছেলে ইয়ানূর রহমান (৮)। রিপার চাচা আবদুর রহমান জানান, বছর চারেক আগে স্বামী সঙ্গে রিপা খাতুনের বিচ্ছেদ হয়। ছেলেকে নিয়ে রিপা বাবার বাড়িতে থাকতেন।

দগ্ধ তিনজনের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, জসীম উদ্দীন নামের একজন অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছেন। তাঁর বাড়ি পাশের শার্শা উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামে। তাঁর স্ত্রী–সন্তান আছে। এক বছর ধরে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার মাঠবাড়ি গ্রামে থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি রিপাকে কয়েক দফা বিয়ের প্রস্তাব দেন; কিন্তু রিপা তাতে রাজি হননি।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, রিপা রাতে ঘরে বসে ছেলেকে খাওয়াচ্ছিলেন। তাঁর ভাই পাশে বসে পড়ছিল। এ সময় জসীম নামের ব্যক্তি ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাডিস ছুড়ে মারেন। রিপাকে জসীম পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অ্যাসিড ছুড়ে মারেন।

পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাফায়েত হোসাইন বলেন, একই পরিবারের তিনজন কেমিক্যান বার্ন হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাসিডে ঝলসে গেছে  কি না, সেটা পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয়। এ ঘটনা ‘কেমিকেল বার্ন হিসেবে লেখা হয়’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ