অনুপ্রবেশের দায়ে রাঙামাটির বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী ছোটহরিণা বাজার এলাকা থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- জ্ঞান রঞ্জন চাকমা (৪৫) ও পিংকু চাকমা (২২)। তারা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাসিন্দা।

বিজিবি জানায়, ছোটহরিণা বাজার এলাকায় দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তল্লাশি করে বিজিবির একটি টহল দল। এ সময় তাদের কাছে ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভারতীয় নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন।

বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মোহম্মদ মাহমুদুর রহমান নিয়াজ বলেন, ‘‘আটক দুই ভারতীয় নাগরিককে বরকল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ৭, দলীয় কার্যালয় ও বাড়ি ভাঙচুর

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বিএনপির একটি ইউনিয়ন কার্যালয় ও এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন ও জামায়াতের একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের জগন্নাথদীঘির উত্তর পাড় এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও জামায়াত নেতারা পরস্পরকে দায়ী করেছেন। দুই পক্ষই থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কথা–কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখমসহ ছয়জনকে আহত করা হয়। একই সময় জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মীর মাথা, হাত ও পায়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে পাশের বিজয়করা গ্রামে বিএনপি কর্মী রাজুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।

গুরুতর আহত বিএনপি কর্মী সাইফুল ও নুরুন্নবীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেক কর্মী আলম চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী মো. ইসমাইল হোসেনকেও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অনুষ্ঠান শেষে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ৬-৭ জন নেতা-কর্মী অবস্থান করছিলেন। এমন সময় জামায়াত-শিবিরের ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। বিএনপির কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মী রক্তাক্ত আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত আরও তিনজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। কার্যালয়ে হামলার পর তাঁরা বিজয়করা গ্রামে বিএনপির এক কর্মীর বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর করেছেন।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের কর্মীদের স্থানীয় বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। একপর্যায়ে হঠাৎ করেই তাঁরা ইসমাইলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। তাঁর পুরো মাথায় কোপানো হয়েছে। এ ছাড়া হাত ও পায়েও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ইসমাইলকে এভাবে কুপিয়ে জখম করায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির কার্যালয় ও তাদের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে জেনেছেন। এতে জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত ছিলেন না।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ আজ সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে দুই দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে জড়ানোর খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ