সালিশ চলাকালে শিশুকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
Published: 20th, April 2025 GMT
নেত্রকোনার মদনে ১২ বছরের এক শিশু দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় মাতবররা। সেখান থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে গেছে অভিযুক্ত কিশোর মাহিন মিয়াসহ কয়েকজন। কাইটাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগের সত্যতা জানতে আজ রোববার ওই গ্রামে গিয়ে শিশুটির দাদিকে পাওয়া যায়। তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত মাহিন মিয়ার বাড়িতে গেলে পাওয়া যায় তার চাচা সাদেক মিয়া ও বাবা আরজু মিয়াকে।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যান। পোশাক কারখানায় চাকরি করেন মা। শিশুটি গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদির কাছে থাকে। এদিকে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে স্থানীয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিন মিয়া। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েটির খালা জানতে চাইলে মাহিনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে। বিষয়টি নিয়ে মাহিনের বাবার সঙ্গে কথা বললে তারা মেয়েটির সঙ্গে মাহিনের বিয়ের কথা জানায়। এ ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার রাতে সালিশ-বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতবররা। এ সময় মেয়েটিকে ঘরের ভেতর একা পেয়ে তুলে নিয়ে যায় মাহিনসহ কয়েকজন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও তাদের সন্ধান মিলছে না।
শিশুটির দাদির ভাষ্য, তার নাতনি দুই থেকে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি মাহিনের পরিবারকে জানালে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। পরে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সালিশ-বৈঠকে বসলে হঠাৎ মাহিনসহ কয়েকজন ঘর থেকে তার নাতনিকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘এখন বুঝতে পারলাম আমার নাতনিকে মাহিন বিয়ে করবে না। তার পরিবারের পরামর্শে বাচ্চাটা নষ্ট করে আবার আমার নাতনিকে ফেরত দেবে। আমরা খুবই গরীব মানুষ। থানায় কিভাবে অভিযোগ করবো বুঝতেও পারছি না।’
অভিযুক্ত কিশোরের বাবা আরজু মিয়া জানান, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দু’জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজি করছেন তারা।
সালিশে উপস্থিত ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন রুবেল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসে ছিলাম। পরে শুনেছি মেয়েটিকে মাহিন তুলে নিয়ে গেছে। বৈঠকে ছেলের পরিবার খুবই খারাপ আচরণ করেছে।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসানের ভাষ্য, এ ঘটনা জানতে পেরে রোববার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পবিবারকে বলা হয়েছে থানায় অভিযোগ করতে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অলিদুজ্জামনের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত রক ন পর ব র ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৬ ছক্কার বছরে কে মারলেন কতটি
নিজেদের ছক্কার রেকর্ড বাংলাদেশ ভেঙেছে অনেক আগেই। কাল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বছরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নিজেদের রেকর্ডটাকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেল। প্রথমবারের মতো এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশ মেরেছে ২০০ বা এর চেয়ে বেশি ছক্কা।
বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ১২২টি, মেরেছিল ২০২৪ সালে। এবার ২০৬টি ছক্কা এসেছে তানজিদ হাসান, লিটন দাসদের ব্যাট থেকে। ছক্কায় রেকর্ড গড়া বছরে বাংলাদেশের কার ব্যাট থেকে কতটি ছক্কা এল?
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ১৮ জন ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরেছেন। এর মধ্য টপ অর্ডারে খেলা চার ব্যাটসম্যান তানজিদ, লিটন, পারভেজ ও সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭টি ছক্কা।
এই তালিকায় সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার তানজিদ হাসানের। ৪১টি ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার, যা এক বছরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা এসেছে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেনের ব্যাট থেকে, ৩৪টি।
সাইফ ১৫ ম্যাচে মেরেছেন ২৯টি ছক্কা, ২৩টি মেরেছেন লিটন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জাকের আলীর ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ ইনিংসে ১৯টি ছক্কা। এরা ছাড়া ১০টির বেশি ছক্কা মেরেছেন শুধু তাওহিদ হৃদয়। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরেছেন ১৪টি।
শামীম হোসেন ৯টি। ছক্কা মারার সংখ্যায় গত বছরের তুলনায় তানজিদ, লিটন, পারভেজদের উন্নতি হলেও হৃদয় ও জাকের এবার খারাপ করেছেন। গত বছর হৃদয় ও জাকের দুজনই ২১টি করে ছক্কা মেরেছিলেন।
আরও পড়ুনবিপিএল নিলাম নিয়ে লিটন, ‘স্রষ্টা মনে করেছেন ৭০ লাখ টাকা যথেষ্ট’১৩ ঘণ্টা আগেএ বছরে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ মোট রান তুলেছে ৪২২৯ (অতিরিক্ত বাদে)। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ রানই এসেছে ছক্কা থেকে। চলতি বছর নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চারও মেরেছে বাংলাদেশ, ২৯৮টি।
২০২৫ সালে ছক্কায় বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচচলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে অস্ট্রিয়া। ২৮ ম্যাচে দলটি ৩২৬টি ছক্কা মেরেছে। তালিকার ২ নম্বরে আছে পাকিস্তান, ৩৪ ম্যাচে পাকিস্তান ২৩৫টি ছক্কা মেরেছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসাব করলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন৫ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডে তানজিদ১৫ ঘণ্টা আগে