৯৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন বাংলাদেশ যুব দলের ওপেনার জাওয়াদ আবরার । এমন সময়ে শ্রীলঙ্কা যুব দলের অধিনায়ক বিমত দিনসারা বল তুলে দেন অনিয়মিত বোলার দুলনিত সিগেরাকে।

প্রথম বলে সিঙ্গেল নেওয়া জাওয়াদ আবার স্ট্রাইক পান ইনিংসের ৩৫তম ওভারের চতুর্থ বলে। সিগেরার করা পায়ের ওপর করা সেই বলটিকে ফ্লিকে ছক্কা মেরে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান জাওয়াদ।

ডানহাতি এই ওপেনারের সেঞ্চুরির ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ১৪৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল করেছিল ৮ উইকেটে ৩৩৬ রান।  রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কানরা ৩৮.

৪ ওভারে  অলআউট ১৯০ রানে।এই জয়ে ছয় ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের যুবারা এগিয়ে গেছে ৩-১ ব্যবধানে। যার অর্থ, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল সিরিজ হারছে না।

১৩৩ রানের জুটি গড়েন জাওয়াদ–রিজান

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বড় হারে টি-২০ সিরিজ শুরু বাংলাদেশের 

পাল্লেকেলের চার নম্বর উইকেটে ইনিংসে গড় টি-২০ রান ১৮০। টসের সময়ই ধারাভাষ্যকার পারভিজ মাহরুফ জানিয়ে দেন- ইনিংসের টেম্প নির্ধারণ হবে প্রথম ছয় ওভারে। টস হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশ দলের ওই শুরু খারাপ হয়নি। তবে পরের ধুকধুকানি ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানে আটকে যায় সফরকারীরা। জবাবে শুরুতে ঝড়ো ব্যাটিং করে লঙ্কানরা। ১ ওভার থাকতে ৭ উইকেটের নির্বিঘ্ন জয় তুলে নেয়।

ওপেনিং জুটিতে তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন ৫ ওভারে ৪৬ রান যোগ করেন। তানজিদ ফিরে যান ১৭ বলে ১৬ রান করে। অধিনায়ক লিটন দাস তিনে নেমে ১১ বলে ৬ রান করে ধুঁকে ধুঁকে আউট হন। এরপরই ফেরেন দলের হয়ে ২২ বলে সর্বাধিক ৩৮ রান করা পারভেজ ইমন। তিনি পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন।

পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয় ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওই চাপ দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে চারে ব্যাট করা নাঈম শেখ ও ছয়ে ক্রিজে আসা মেহেদী মিরাজ সামাল দিলেও ধীরে রান তোলে বাংলাদেশ। নাঈম ২৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ রান করেন। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন। তিনি চারটি চারের শট খেলেন। শেষটায় শামীম পাটোয়ারি ৫ বলে ১২ রান করলে দেড়শ’ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে লঙ্কানরা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস ৪.৪ ওভারে ৭৪ রানের জুটি দেন। ফিরে যাওয়ার আগে নিশাঙ্কা ১৬ বলে ৪২ রান করেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। তিনে নামা কুশল পেরেরা ২৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন। ওপেনার কুশল মেন্ডিস ৫১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন।   

সম্পর্কিত নিবন্ধ