রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাইবে এটা যৌক্তিক, হাজার বার চাওয়াটাও যৌক্তিক, চাইলে তাদের ট্রল করা, হেয় করা একদম অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। 

শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বরিশালের উন্নযনবিষয়ক নাগরিক সমাবেশে ফুয়াদ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার কোনোটা সাংঘর্ষিক নয়। পুরোটা মিলে গণঅভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলো গত ১৭-১৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন দাবী করে আসছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো প্রোপাগান্ডার মেশিন। তারা অনলাইন এবং অফলাইনে সক্রিয়। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি সেজে এনসিপিকে অ্যাটাক করছে, আবার এনসিপি সেজে বিএনপিকে অ্যাটাক করছে। যে কারণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং এনসিপি নেতাকর্মীরা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়াচ্ছেন। 

মিয়ানমারের মানবিক করিডোর বিষয়ে ফুয়াদ বলেন, দুনিয়ার অনেক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মানবিক করিডোর দিন শেষে আর মানবিক থাকে না, অমানবিক-সামরিক হয়ে যায়। আমাদের ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতি বিবেচনা করতে হবে। আমি এখানে পরাশক্তির ফুটবল হতে পারব না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়ে সিরিয়াসলি পরামর্শ এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। 

স্থানীয় সরকার নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে হবে প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা, সক্ষমতা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা-সক্ষমতা যাচাই-বাচাই করার সুযোগ আছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রয়োজন ঐকমত্য।

নির্বাচন কবে এ নিয়ে তিনি বলেন, প্রফেসর ড.

ইউনূস যে ডেটলাইন দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুন, এটা যৌক্তিক সময়। তাঁর ইমেজের কারণে তিনি ওয়াদা থেকে ফিরে আসবেন এটা আমি বিশ্বাস করি না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতে ইসলামী আজ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী।

জামায়াতের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।

আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ আলোচনায় তাড়াহুড়োর চেয়ে ঐকমত্যকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘কিছু আলোচনা সমাপ্ত হয়নি, সেটা আগামী সপ্তাহের আলোচনায় পুনরায় তোলা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আলোচনার কোনো অংশকে পুনরুক্তি না করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য।’

আজকের আলোচনা থেকে বড় অগ্রগতি অর্জনের আশা প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কাজেই আমাদের সময়ের স্বল্পতাও রয়েছে। বিষয়টিও রাজনৈতিক দলগুলোর খেয়াল রাখতে হবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করা, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

বৈঠকে উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য সদস্য আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু দল অতীতের ত্রুটিপূর্ণ ক্ষমতাকাঠামোয় গিয়ে ‘ম্যানিপুলেট’ করার কথা ভাবছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • দু–একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে: নুরুল হক
  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে জামায়াত
  • রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের মুলতবি আলোচনা শুরু
  • দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু 
  • এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে সম্মত এবি পার্টি
  • দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারষ্পরিক অবস্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ হ
  • জামায়াত‌কে বে‌শি কথা বল‌তে দেওয়ায় গণ‌ফোরাম-সি‌পি‌বির সংলাপ থে‌কে ওয়াক আউট
  • ঐকমত্যের সংলাপে আবারো অংশ নিল জামায়াত
  • জামায়াতে ইসলামী আজ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিল