বগুড়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধর করে পুলিশে দিলেন এনসিপির নেতাকর্মীরা
Published: 6th, May 2025 GMT
বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধর করা হয়েছে। সোমবার রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটে নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন তিনি। এ সময় তাঁকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এস এম মিল্লাত স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিকেল থেকে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন এস এম মিল্লাত হোসেন। রাত আটটার দিকে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী চেম্বারে গিয়ে তাঁকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সংলগ্ন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়। শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, কালিবাড়ী মোড় ও পৌরসভা লেন হয়ে ডিবি কার্যালয় পর্যন্ত নেওয়ার সময় এস এম মিল্লাতকে থেমে থেমে মারধর করা হয় এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘অ্যাক (এস এম মিল্লাত) ছয় মাস আগে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম, আমাকে দুর্বল মনে করেছে। আমি স্পষ্ট কথা বলে দিতে চাই। বেশি কথার মানুষ আমি না, এক কথার মানুষ। একবার বলেছি মানে ওইটা ওয়ার্নিং হয়ে গেছে। সময়মতো ধরে ফেলে দিয়েছি। তুই আমার ভাইগরক ২০-২৫ বছর ধরে মারচু। দীলিপ রায়ের (স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি) কোনো সিন্ডিকেট রাখব না, আমরা আসতেছি। হাসনাতের ওপর হামলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, ৫ আগস্টের পর এস এম মিল্লাত ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে নানাভাবে সহায়তা করছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগকে অর্থ সহায়তা করছেন।
বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, রাত সোয়া আটটার দিকে এনসিপির নেতাকর্মীরা এম এস মিল্লাতকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর আওয় ম ল গ এনস প ন ত কর ম এনস প র আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাহিয়া মাহি, বললেন ‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়’
বড় পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছিল ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক বছর। আলোচিত কোনো নতুন কাজ নেই, তবে মাহিয়া মাহি কখনোই বাইরে যাননি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে। ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি। সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন শিরেনামে।
তবে এবার একেবারে ভিন্ন এক কারণে আলোচনায় এলো তাঁর নাম। নীরবে-নিভৃতে দেশ ছেড়েছেন এই ঢালিউড নায়িকা। গন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক পৌঁছে নিজের ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন মাহি। ক্যাপশনে মাত্র তিনটি শব্দ—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’ ছবির লোকেশন দেওয়া নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। সংক্ষেপে, তবে স্পষ্টভাবে দেশ ছাড়ার বার্তাটিই যেন দিয়ে দিলেন তিনি।
তবে এই সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। গণমাধ্যমকে শুধু জানালেন, “ভিসা পাওয়ার পর আর আসা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। তাই এবার একটু সময় বের করে এলাম। বাচ্চা তো দেশে আছে, ঘুরে ফিরে আবার যাব।”
চলচ্চিত্রে মাহির যাত্রা শুরু ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে, ২০১২ সালে। এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন ‘অগ্নি’, ‘পোড়ামন’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘অবতার’-এর মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র। নিজের প্রাঞ্জল অভিনয় আর সাবলীল অভিব্যক্তির জন্য খুব দ্রুতই জায়গা করে নিয়েছেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায়।
সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও আলোচনায় ছিলেন নানা কারণেই। এবার যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। মাহি কি তবে নতুন করে জীবন সাজাতে চলেছেন? ফের কি শুরু হবে নতুন অধ্যায়?
তবে আপাতত এসব প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে। নিউইয়র্কের আকাশে আপাতত একটিই লেখা—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’