কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই পাকুন্দিয়ার তারাকান্দি ইউনিয়নের চরটেকি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে স্কুলে যাওয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হন তারা।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও জালাল উদ্দিনের মেয়ে ফারিয়া জান্নাত ইরিনা (১৪), বাদল মিয়ার মেয়ে আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়া (১৪) ও বোরহান উদ্দিনের মেয়ে ইমা আক্তার বর্ষা (১৫)। 

ইউএনও বিল্লাল হোসেন জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ওই তিন ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হন। তাদের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফারিয়া জান্নাত ইরিনা ও আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর ইমা আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের দাফনের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক নদীতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

নদীতে বিলীন হয়েছে গ্রামীণ সড়ক। এতে ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়ার ডুমরিয়া ইউনিয়নে ডুমরিয়া-সড়াবাড়ী সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে গত বুধবার দুপুরে ফাটল ধরে। সড়কটির ২৫০ ফুট শৈলদহ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ডুমরিয়ার চিতলিয়া গ্রামের সুধীর বিশ্বাস ও লতা বেগম বলেন, বুধবার থেকে এ সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ। ডুমরিয়া, ভৈরবনগর, তারইল, জামাইবাজার, মামারবাজার, চিতলিয়া, সড়াবাড়ী, পাকুরতিয়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। তাদের বাঁশবাড়িয়া হয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। 
একই গ্রামের রহমত মল্লিক বলেন, শৈলদহ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ৩০ ডিসেম্বর এ সড়কের সেতু ভেঙে যায়। এর চার মাস পর সড়কটি ভেঙে পড়ল। এতে একটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই পরিবারকে ইউএনও খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা করেছেন। ভাঙনকবলিত এলাকার অন্তত ২৫টি বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়নের পানি সরবরাহ লাইন নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই দ্রুত নদীভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে চিতলিয়া গ্রামের মানুষ সহায়সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। মানচিত্র থেকে চিতলিয়া গ্রাম হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
চিতলিয়া গ্রামের অমর বিশ্বাস বলেন, এই সড়ক দিয়ে তারা ডুমরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজারে যাতায়াত করেন। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় তারা সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না। 
টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও মঈনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লতা বেগমের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এ পরিবারকে একটি বসতঘর করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডুমরিয়া ও পাটগাতী ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে সড়কটিও দ্রুত সংস্কার করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রী নিহত
  • ১৩ ছাত্রীর অভিযোগ বরখাস্ত শিক্ষক
  • অশালীন আচরণের অভিযোগ ১৩ ছাত্রীর, বরখাস্ত শিক্ষক
  • ২০০ বছরের পুরোনো সম্পত্তি নাবালকের নামে ইজারা
  • পাওনাসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে সিলেটে চা শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
  • সিলেটে এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • জোট বেঁধে ভাঙা হলো দুটি বাঁধ
  • সড়ক নদীতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
  • মুচলেকায় ছাড়া পেলেন তাঁতী দলের জেলা সভাপতিসহ বিএনপির চার নেতা–কর্মী