ইউক্রেন টানা দুই রাত ধরে মস্কোয় ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনায় দেশটির রাজধানী মস্কোর চারটি বিমানবন্দরের সব ক’টিই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণ সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া টেলিগ্রামে জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। 

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবায়ানিন বলেছেন, সোমবার রাতে কমপক্ষে ১৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা সারাদেশে শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর আগে সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগের রাতে তারা ২৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। মস্কোর পাশাপাশি, পেনজা এবং ভোরোনেজসহ রাশিয়ার অন্যান্য শহরের গভর্নররাও বলেছেন, সোমবার রাতে তাদের এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের বিজয় উপলক্ষে আগামী শুক্রবার মস্কোয় একটি বড় কুচকাওয়াজের তিন দিন আগে এমন ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল। দিবসটি উপলক্ষে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আজ বুধবার মস্কোয় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ ছাড়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট টো লাম ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সোমবার ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে– এমন খবর প্রকাশের পর মস্কোয় ড্রোন হামলার বিষয়টি সামনে এলো। ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কিয়েভ জানিয়েছে, তারা রোববার রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে টিওটকিনো গ্রামের কাছে একটি ড্রোন কমান্ড ইউনিটে আঘাত করেছে। 

গত এপ্রিল মাসে মস্কো বলেছিল যে ইউক্রেনীয় বাহিনী আকস্মিক আক্রমণ শুরু করার ৯ মাস পর তারা পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। তবে কিয়েভ জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত পেরিয়ে এখনও তাদের সেনারা কাজ করছে। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার ইউক্রেনের আক্রমণে কুরস্ক অঞ্চলের রিলস্ক শহরের একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ড্রোন হামলার জবাবে ইউক্রেনীয় শহর খারকিভে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, রাশিয়াও রাতে তাঁর শহরে এবং কিয়েভের আশপাশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। 

এদিকে, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের তিওতকিনো থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সুমি এলাকায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দুটি বসতি থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে রয়টার্স জানায়। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

রথযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা

আসন্ন রথযাত্রা ও উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার বেলা ১১টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভায় জানানো হয়, ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রথযাত্রায় থাকবে টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ।

ডিএমপি জানায়, সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে রথযাত্রা নির্ধারিত রুট ও সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। নামাজ ও আজানের সময় মাইক ব্যবহার না করা, ব্যাগ-পোঁটলা নিয়ে রথযাত্রায় অংশ না নেওয়া, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকায় রথযাত্রা একটি বড় ধর্মীয় শোভাযাত্রা। শুক্রবার বিকেলে জনসমাগম বেশি হয়, তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উৎসব সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হবে।

সভায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় ডিএমপির বিভিন্ন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম ও উপপুলিশ কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রথযাত্রা উদ্‌যাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকে আ. লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোস্ট, আখাউড়ায় গ্রেপ্তার ১
  • রথযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা
  • বিশ্ব সংগীত দিবস উদযাপনে দুই আয়োজন