ছাত্রলীগ নেতাকে খাটের নিচ থেকে উদ্ধার
Published: 7th, May 2025 GMT
মাদারীপুরের ডাসারে মো. জহিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। জহিরুল ইসলাম ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বুধবার (৭ মে) সকালে ওই ছাত্রলীগ নেতার ভিডিও ভাইরালের ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সম্প্রতি এক গৃহবধূর বসতঘরে যান। সেসময় ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এলে ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে খাটের নিচ থেকে টেনে বের করেন এবং ঘটনাটি ভিডিও করে রাখেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এলাকাবাসী শরিফুল ইসলাম সুজন বলেন, “নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতার পরকীয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকে খাটের নিচ থেকে বের করছেন এক ব্যক্তি। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ওদের অপকর্ম কমেনি।”
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম বলেন, “আমি একটি প্রতিবন্ধী স্কুলে চাকরি করতাম। আমার এক কলিগের ইনভাইটেশনে ওই গৃহবধূর ঘরে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে হ্যারেজমেন্টের শিকার হয়েছিলাম।”
‘তবে খাটের নিচে কেনো লুকিয়েছিলেন?’ এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি ওই ছাত্রলীগ নেতা।
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের হাত থেকে ১৪ মামলার আসামি ছিনতাই
ঠাকুরগাঁও পুলিশের গ্রেপ্তার করা ১৪ মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একদল লোক; শুধু তাই নয়, পুলিশ সদস্যরাও মারধরের শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৮ বছর বয়সি আসামি শাহজাহান আলী পাশের গ্রাম আরাজি পাইকপাড়ার শামসুল হকের ছেলে। মাদক, প্রতারণাসহ প্রায় ১৪টি মামলার আসামি তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
সীমান্ত এলাকার এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির
পুলিশ বলছে, ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের চার সদস্য মাদারগঞ্জ এলাকায় আসামি শাহজাহানকে ধরতে অভিযান চালান। তারা শাহজাহানকে ধরে ফেলেন। তবে হঠাৎ আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের চার সদস্য মারধরের শিকার হন। তবে থানা থেকে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সারোয়ার খান বলেন, “অভিযানে পুলিশ সদস্য কম থাকায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যথেষ্ট পুলিশ সদস্য থাকলে আসামি ফসকে যাবার সুযোগ ছিল না। সেই আসামিকে ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি দ্রুতই তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।”
ঢাকা/হিমেল/রাসেল