‘এখানেই থামছি না’, স্বপ্নভঙ্গের পর ইয়ামালদের লড়াইয়ের বার্তা
Published: 7th, May 2025 GMT
ইতালির মাটিতে স্বপ্নের ঠিক এক কদম দূর থেকে ফিরে এল বার্সেলোনা। ২০২৪-২৫ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো কাতালান ক্লাবটিকে। অথচ ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাইনালে পা রাখার স্বপ্ন ছিল লেভা-ইয়ামালদের।
ম্যাচশেষে হতাশা আর কৃতজ্ঞতা মিলিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বার্সার তিন তারকা লামিন ইয়ামাল, রবার্ট লেভান্ডোভস্কি ও রাফিনিয়া। ইনস্টাগ্রামে তারা ভক্তদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, স্বপ্নচ্যুতি সত্ত্বেও তারা থেমে যাবেন না।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বার্সার আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন ইয়ামাল। হারের পর ভক্তদের উদ্দেশে নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সবকিছু দিয়েছি, কিন্তু এবারেরটা আমাদের ছিল না। আমরা আবার ফিরব, কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ক্লাবকে যেখানে থাকার কথা, সেখানেই নিয়ে যেতে আমরা থামব না। আমি কথা দিচ্ছি—এই শিরোপা বার্সেলোনায় ফিরবেই।’
পোস্টের শেষে একটি অনুপ্রেরণামূলক বার্তাও যুক্ত করেন ইয়ামাল, ‘যদি পড়ে যাই, আবার উঠে দাঁড়াবো। কারণ যখন আমার কিছুই ছিল না, তখন আমি কঠোর পরিশ্রম আর ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু অর্জন করেছি। তাই আমি যতবারই পড়ি না কেন, আমি আবার উঠবো, একজন যোদ্ধার মতো।’
ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাঠে ছিলেন না রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। বাম পায়ের পুরনো সমস্যার কারণে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি, খেলেছেন মাত্র ৩০ মিনিট। তবে ইনস্টাগ্রামে তিনি বার্তা দিয়েছেন ক্লাব ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, ‘আমরা আমাদের সবটা দিয়েছি, আর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই পথচলায় আমি গর্বিত, আর কৃতজ্ঞ তোমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য। সামনে আরও অনেক কিছু আসছে, আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাবো।’
লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন রাফিনিয়াও। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। ধন্যবাদ বার্সার সব সমর্থককে। আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ আছি। এই মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। যতই দিন যাচ্ছে, এই জার্সি নিয়ে আমি আরও বেশি গর্বিত হচ্ছি। এই দল নিয়ে গর্বিত হচ্ছি। বার্সা দীর্ঘজীবী হোক।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায়ের পরও মৌসুমে বার্সেলোনার অর্জন কম নয়। হান্সি ফ্লিকের দল ইতোমধ্যে জিতেছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রে। দুইবারই হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে। এখন তারা লা লিগার শীর্ষে, ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে। দ্বিতীয়স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে ৪ পয়েন্টে। এই রোববার বার্সেলোনা মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে কাতালুনিয়ার লুইস কোম্পানিস অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। জয় বা ড্র পেলেই ফ্লিকের শিষ্যরা লিগ শিরোপার আরও কাছাকাছি চলে যাবে। তাই ক্লিকের দলের এখন একটাই লক্ষ্য, লিগ শিরোপা জয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির বিজয় ভাষণ শেষে মঞ্চে বাজল ‘ধুম মাচালে’
জোহরান মামদানির জীবনাচারে ভারতীয় টান বেশ প্রবল। ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ তরুণ রাজনীতিক। বিজয় ভাষণেও ভারতীয় রেশ রাখলেন তিনি। বক্তব্য শেষে স্ত্রী আর মা–বাবাকে যখন মঞ্চে ডেকে নেন, তখন বাজছিল বলিউডের জনপ্রিয় ‘ধুম মাচালে’ গানটি।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনে ভোচ গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে বাঘা রাজনীতিক আর সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের প্রার্থী। ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া সেই কুমোকে হারিয়ে বাজিমাত করেন জোহরান মামদানি।
আরও পড়ুনমীরা নায়ারের সেই ছেলেটি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হলেন১ ঘণ্টা আগেগতকালই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে সমর্থকদের উদ্দেশে বিজয় ভাষণ দেন জোহরান মামদানি। বক্তব্যে তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ট্রাম্পকে খোঁচা দেন।
বক্তব্য শেষে হাত নেড়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানান জোহরান মামদানি। স্ত্রী সিরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রমা দুওয়াজিকে মঞ্চে ডেকে নেন তিনি। ঠিক তখনই আবহ সংগীত হিসেবে বেজে ওঠে ‘ধুম মাচালে’ গানটি।
এরপর একে একে মঞ্চে আসেন জোহরান মামদানির মা–বাবা। তাঁর মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তাঁরা দুজনই জন্মগতভাবে ভারতীয়।
মা–বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে মঞ্চে যখন জোহরান মামদানি আবেগঘন মুহূর্ত পার করছিলেন, তখনও বাজছিল ‘ধুম মাচালে’।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়া জোহরান কেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিলেন২৬ জুন ২০২৫সমর্থকদের উদ্দেশে কথা বলছেন জোহরান মামদানি। পাশে তাঁর বাবা মাহমুদ মামদানি, স্ত্রী রমা দুওয়াজি ও মা মীরা নায়ার (ডানে)। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে, ৪ নভেম্বর ২০২৫