প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের ছাত্র-যুব সমাবেশ
Published: 7th, May 2025 GMT
‘প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ছাত্র-যুব সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক আরিফুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির।
সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার নির্বাহী সদস্য জাভেদ জাহান, যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাংবাদিক ও গবেষক আনিস রায়হান প্রমুখ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, উন্নয়নের নামে গাছ কাটা এখন যেন রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো রাজনৈতিক দল বা মতের বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশবান্ধব আন্দোলনে নামতে হবে।
গ্রীন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, অক্সিজেন ছাড়া জীবন অসম্ভব। অথচ এই অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছগুলোই উন্নয়নের নামে কেটে ফেলা হচ্ছে। ব্যক্তিস্বার্থ, ধর্মীয় উসকানি বা ভ্রান্ত ধারণায় যারা পরিবেশ ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজকের সমাবেশে ঢাকা শহরের অন্তত ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে একটি সচেতনতামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র ন ভয় স পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় ভরা: সন্তু লারমা
আজকের এ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা ও শঙ্কায় ভরা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
সন্তু লারমা বলেছেন, ‘দেশের পাহাড় ও সমতলের অধিকাংশ জনগণ এখনো অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে দিন যাপন করছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর চলমান সংস্কার কার্যক্রমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কার্যকর কোনো সংগঠন বা নেতৃত্বের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।’
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
অসুস্থতার কারণে সন্তু লারমা সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী ফোরামের নির্বাহী সদস্য পল্লব চাকমা।
লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশে তাঁরা ক্রমশ ভূমিহীন ও দেশান্তরি হচ্ছেন। পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৮ বছরেও কার্যকর করছে না এ রাষ্ট্র। ফলে পাহাড়ে বিদ্যমান সমস্যার নানা রূপ প্রতিফলিত হচ্ছে।
সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুক উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘ভূমি থেকে উচ্ছেদ, নারী নিপীড়ন, বৈষম্য, বিচারহীনতা—এসবের মাধ্যমে প্রান্তিক থেকে আরও প্রান্তিক হচ্ছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা।’
এমন বাস্তবতায় প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বাংলাদেশের আপামর নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতাসহ সবাইকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
দেশে বসবাসকারী ৪০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের টিকে থাকার লড়াইকে শাণিত এবং তাঁদের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করতে তরুণদের অধিকতর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
সন্তু লারমা বলেন, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের লড়াই ও সংগ্রাম বেগবান করা এবং গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে সন্তু লারমা বলেন, এ দিবস প্রতিবছরের মতো তাঁদের তরুণ সমাজ ও জনগণকে নবতর সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন