বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, এপ্রিলে সর্বোচ্চ
Published: 9th, May 2025 GMT
গেল এপ্রিল মাসে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা ১৪.৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা ছিল বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও অস্বাভাবিক হারে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনা। এর মাধ্যমে টানা ৯ মাস প্যারিস চুক্তির বেঁধে দেওয়া ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল। কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা (১৪.                
      
				
বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বিশ্বের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর হবে; যা পৃথিবীর অস্তিত্ব হুমকিতে ফেলতে পারে এবং বড় অঘটনের জন্ম দিতে পারে।
গত মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক এলাকা একইসঙ্গে তীব্র দাবানলে আক্রান্ত হয়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াই এ বিপর্যয়ের মূল কারণ। তাপমাত্রা বেশি থাকায় বাতাসের প্রভাবে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ভয়াবহ দাবানলগুলো তাপ বাড়ার কারণে ঘটছে বলে সতর্কতা দেন বিজ্ঞানীরা। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এসব দাবানলের অনস্বীকার্য কারণ বলেও মনে করেন তারা।
গত সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের (ডব্লিউডব্লিউএ) বিশ্লেষণে বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উষ্ণায়ন হচ্ছে। সে কারণে দাবানল ছড়ানোর অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে। 
 ১৯৭৩ সালের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৪ সাল। গত বছর দেশটির গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মার্চ মাসে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে অসহনীয় তাপমাত্রা অনুভূত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রার এই পরিবর্তনের কারণ মানবসৃষ্ট। 
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, প্রাক-শিল্পযুগ অর্থাৎ ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে তা বিপজ্জনক হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স লস য় স
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম