নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো উপদেষ্টা কিংবা কোনো শক্তির প্রয়োজন হবে না। আমাদের পাশে জনগণ আছে, জনগণের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবো।

শহীদ পরিবারে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি আমাদের প্রাণের দাবি। এটা বিএনপির দাবি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ আর এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

স্বৈরাচার বিদায় হলেও মানুষের ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা বিগত ১৫ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। যে শহীদরা জুলাইয়ের আন্দোলনে হত্যার শিকার হয়েছেন তারা কেউ উপদেষ্টা, ক্ষমতা কিংবা নতুন দল গঠনের জন্যে আন্দোলনে নামেনি। তারা নেমেছিল স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে। অত্যাচারে বিরুদ্ধে।  

বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুথান ও রাষ্ট্র সংস্কার শীর্ষক আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ্ াবলেন। রবিবার (১১ মে) রাত ৮ টায় নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের মুক্তিনগওে গ্রীন গার্ডেন রেস্টুরেন্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ কর্তৃক এ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সবার আয়োজন করা হয়। 

চিত্র প্রদর্শনীতে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞসহ অমানবিক ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়। 

এ সময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ৫ আগস্টেই বলেছে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ যেনো আবার গর্জে উঠতে না পারে তার জন্য আমরা আছি। পাশাপাশি শহীদ পরিবারের পাশেও বিএনপি থাকবে বলেও তিনি বলেছেন।  

এছাড়াও তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা জনগণের মনের ভাষা জানেন না মন্তব্য করে মামুন মাহমুদ বলে, উপদেষ্টারা অনভিজ্ঞ তারা জনগণের মনের ভাষা জানেন না। একটা রাজনৈতিক দল জনগণের মনের ভাষা পড়তে পারে। 

আলোচনা সভায় গণঅভ্যুত্থান সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ হওয়া আকাশের পিতা আকরাম হোসেন বলেন, আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছি, কিন্তু তখন রাস্তায় ছিল আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন। যার কারণে হাসপাতালেও ঠিক মতো নিতে পারিনি। 

স্বৈরাচার দলের দ্বারা আমার সন্তান হত্যা হয়েছে। স্বৈরাচার পতন হলেও এখনো কেনো আমরা বিচার পাচ্ছি না?। সন্তান হত্যার বিচার পেতে যদি দেরি হয় তাহলে আমিও তো মাঠে নামবো। প্রয়োজনে আমিও শহীদ হবো। 

বিএনপির উদ্দেশ্য এই পিতা বলে, আমরা দেখতে পাই বিএনপির কিছু নেতারা আওয়ামী লীগের সাথে মিশে গেছে। আপনারা যদি আওয়ামী লীগের সাথে মিশেন তাহলে তো যেই লাউ সেই কধুই। শহীদদের সাথে বেইমানি করবেন না। 

বারান্দার গ্রীল ছিদ্র হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শহীদ সুমাইয়ার বোনের জামাই বিল্লাল বলেন, আমার মামলাটি এখনো কেনো আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে নেওয়া হয়নি এই সরকারের কাছে আমার এটা প্রশ্ন। আমরা প্রশানের কাছে সব ধরনের তথ্য পৌঁছে দিয়েছি তবুও কেন না? 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাকের আহমেদ সোহানের সভাপতিত্বে আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্বজন, জেলা বিএনপি, মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ জনগণ র ম ব এনপ র উপদ ষ ট গণঅভ য র জন য আওয় ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”

আরো পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”

“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”

জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের
  • রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে সন্তুষ্ট আইন উপদেষ্টা 
  • এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • হৃদয় থেকে বলছি, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হব: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
  • রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা 
  • ঢাকায় বড় পর্দায় দেখা যাবে শেখ হাসিনার মামলার রায়
  • শেখ হাসিনার মামলার রায়: ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার দাবি ফখরুলের
  • বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে আসছে বিদেশি ফরেনসিক টিম
  • নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খ্যাতি অর্জ