চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস-সংলগ্ন প্রাঙ্গণকে মুক্তাঙ্গন করার দাবি
Published: 12th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণকে সর্বজনীন নাগরিক মুক্তাঙ্গন ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি জেরিনা হোসেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মুখ চত্বরের জায়গার মালিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৩ বছর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই জায়গা ইজারা নিয়েছিল সিটি করপোরেশন। ১৯৯২ সালে শিশুপার্ক স্থাপনের জন্য ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ইজারার মেয়াদ শেষ হলে ২০২০ সালে মাসিক মাত্র দেড় লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আবারও ১৫ বছরের চুক্তি করে সিটি করপোরেশন। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পার্কটি উচ্ছেদ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস এবং এর আশপাশের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ (প্রায় ৩ দশমিক ৮৯ একর) অনেক বছর পর্যন্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি উন্মুক্ত মিলনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে স্থানটি ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া হয়। ওই সময় সেখানে সীমানাপ্রাচীর ও স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে এই উন্মুক্ত পরিসর ধ্বংস করা হয়। তবে ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এসব অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ করে। জঞ্জালমুক্ত সার্কিট হাউস ময়দান নিশ্চিতভাবে আবারও নগরবাসীকে উদ্বেলিত করেছিল। চট্টগ্রামবাসী পুনরায় আগের সে উন্মুক্ত পরিসর ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জঞ্জালমুক্ত করার পর উন্মুক্ত এই পরিসরের সীমানা বরাবর কংক্রিটের খুঁটি ও লোহার গ্রিল দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তখন আশ্বস্ত করা হয়েছিল, ঐতিহ্যবাহী এই প্রাঙ্গণ জনগণের মুক্তাঙ্গন হিসেবে থাকবে। তবে সম্প্রতি তাঁরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছেন, এই মুক্তাঙ্গনের সীমানার ভেতরে মালিকানা দাবিমূলক কর্তৃত্ব এবং জনসাধারণের প্রবেশাধিকারের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে নাগরিক হিসেবে তাঁরা শঙ্কিত বোধ করছেন। কেননা, এ ধরনের নির্দেশনা মনস্তাত্ত্বিক ভীতির সঞ্চার করে।
পার্ক উচ্ছেদের পর সার্কিট হাউস সংলগ্ন মাঠের বর্তমান অবস্থা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উন ম ক ত
এছাড়াও পড়ুন:
নটর ডেম কলেজ ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) মারা গেছেন। কলেজ ‘ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে’ তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধ্রুব পরিবারের সঙ্গে গোপীবাগের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়ায়।
মৃত শিক্ষার্থীর বাবা বাণীব্রত দাস জানান, ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্র আনার জন্য ছেলের সঙ্গে কলেজে যান তিনি। ছেলেকে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি আর ধ্রুবর মা কলেজগেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু একটু পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে নিয়ে আসে বাইরে। তাকে প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।