ব্যাংক হিসাবে ভাতার ‘ডাবল এন্ট্রি’, বিপদে ৪৯ পেনশনভোগী
Published: 12th, May 2025 GMT
ফরিদপুরে পেনশনের টাকা ব্যাংক হিসাবে যুক্ত হয়ে আবার ফেরত যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ফরিদপুর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পেনশনভোগী ৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) শেখ আমির খসরু।
বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ আমির খসরু বলেন, ‘ডাবল এন্ট্রি’ হওয়ায় এক ব্যাংকের ৪৯ গ্রাহক এ সমস্যায় পড়েছেন।
এ ঘটনার অন্যতম ভুক্তভোগী ফরিদপুরের প্রবীণ সাংবাদিক সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.
অধ্যাপক শাহজাহান জানান, গত ৪ মে তাঁর মোবাইল ফোনে আসা খুদে বার্তা থেকে তিনি জানতে পারেন, সোনালী ব্যাংকে তাঁর হিসাব নম্বরে পেনশন বাবদ পাওয়া এপ্রিল মাসের টাকা জমা হয়েছে। এর কয়েক মিনিট পরে মোবাইল ফোনে আসা আরেকটি খুদে বার্তা থেকে তিনি জানতে পারেন, পেনশন বাবদ যে পরিমাণ টাকা তাঁর হিসাবে যুক্ত হয়েছিল, তা কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরদিন ৫ মে তিনি ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা তাঁকে সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ৬ মে তাঁর হিসাব থেকে ১ হাজার টাকা তোলেন এবং ব্যাংক থেকে তাঁর হিসাব নম্বরের একটি ‘স্টেটমেন্ট’ সংগ্রহ করেন। সে ‘স্টেটমেন্ট’ থেকেও দেখা যায়, গত ৪ মে পেনশনের টাকা তাঁর হিসাব নম্বরে জমা হওয়ার পর আবার কেটে নেওয়া হয়েছে এবং নতুন করে কোনো অর্থ তাঁর হিসাবে যুক্ত হয়নি।
পেনশন যুক্ত না হওয়া সোনালী ব্যাংকের ৪৯ জন গ্রাহকের অনেকেরই সংসার চলে পেনশনের সামান্য টাকায়। এ ছাড়া সামনে ঈদুল আজহা। পেনশনের টাকা না এলে ঈদ বোনাসও আটকে যাবে। এ ভাবনা ভুক্তভোগীদের শঙ্কিত করে তুলেছে বলে জানান সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
ফরিদপুর সোনালী ব্যংক করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) শেখ আমির খসরু জানান, শুধু অধ্যাপক মো. শাহজাহানের ক্ষেত্রেই নয়, একই সমস্যায় পড়েছেন সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুর করপোরেট শাখায় আরও ৪৯ জন পেনশনভোগী। বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: করপ র ট শ খ কর মকর ত প নশন র ক ত হয় সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক হিসাবে ভাতার ‘ডাবল এন্ট্রি’, বিপদে ৪৯ পেনশনভোগী
ফরিদপুরে পেনশনের টাকা ব্যাংক হিসাবে যুক্ত হয়ে আবার ফেরত যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ফরিদপুর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পেনশনভোগী ৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) শেখ আমির খসরু।
বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ আমির খসরু বলেন, ‘ডাবল এন্ট্রি’ হওয়ায় এক ব্যাংকের ৪৯ গ্রাহক এ সমস্যায় পড়েছেন।
এ ঘটনার অন্যতম ভুক্তভোগী ফরিদপুরের প্রবীণ সাংবাদিক সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শাহজাহান (৮০)। তিনি ফরিদপুর শহরের আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা। ২০০২ সালের ৩১ জুলাই শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে অবসরে যান। সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুর করপোরেট শাখায় তাঁর হিসাব নম্বরে (অ্যাকাউন্টে) গত ২৩ বছর ধরে অবসরকালীন ভাতা, উৎসব ভাতাসহ আনুষঙ্গিক টাকা ঠিকমতো জমা হয়। গত ২৩ বছরে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু গত ৪ মে তাঁর মোবাইল ফোনে আসা দুটি মেসেজ থেকে তিনি একাধারে বিস্মিত ও শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
অধ্যাপক শাহজাহান জানান, গত ৪ মে তাঁর মোবাইল ফোনে আসা খুদে বার্তা থেকে তিনি জানতে পারেন, সোনালী ব্যাংকে তাঁর হিসাব নম্বরে পেনশন বাবদ পাওয়া এপ্রিল মাসের টাকা জমা হয়েছে। এর কয়েক মিনিট পরে মোবাইল ফোনে আসা আরেকটি খুদে বার্তা থেকে তিনি জানতে পারেন, পেনশন বাবদ যে পরিমাণ টাকা তাঁর হিসাবে যুক্ত হয়েছিল, তা কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরদিন ৫ মে তিনি ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা তাঁকে সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ৬ মে তাঁর হিসাব থেকে ১ হাজার টাকা তোলেন এবং ব্যাংক থেকে তাঁর হিসাব নম্বরের একটি ‘স্টেটমেন্ট’ সংগ্রহ করেন। সে ‘স্টেটমেন্ট’ থেকেও দেখা যায়, গত ৪ মে পেনশনের টাকা তাঁর হিসাব নম্বরে জমা হওয়ার পর আবার কেটে নেওয়া হয়েছে এবং নতুন করে কোনো অর্থ তাঁর হিসাবে যুক্ত হয়নি।
পেনশন যুক্ত না হওয়া সোনালী ব্যাংকের ৪৯ জন গ্রাহকের অনেকেরই সংসার চলে পেনশনের সামান্য টাকায়। এ ছাড়া সামনে ঈদুল আজহা। পেনশনের টাকা না এলে ঈদ বোনাসও আটকে যাবে। এ ভাবনা ভুক্তভোগীদের শঙ্কিত করে তুলেছে বলে জানান সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
ফরিদপুর সোনালী ব্যংক করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) শেখ আমির খসরু জানান, শুধু অধ্যাপক মো. শাহজাহানের ক্ষেত্রেই নয়, একই সমস্যায় পড়েছেন সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুর করপোরেট শাখায় আরও ৪৯ জন পেনশনভোগী। বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।