অভিবাসন খরচ কমানোর পাশাপাশি বিদেশে চাকরির জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে আমি প্রবাসী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অনলাইনে প্রয়োজনীয় সরকারি বিভিন্ন তথ্যও জানা যায়। এবার চাকরিপ্রার্থীদের সহায়তায় মেশিন লার্নিং চ্যাটবটভিত্তিক ‘সিভি বিল্ডার’ সুবিধা চালু করেছে আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্ম। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই চ্যাটবটের সঙ্গে আলোচনা করে মানসম্মত জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা যাবে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আমি প্রবাসী কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনেকেই নিজে বা অনলাইন টুলস ব্যবহার করে আকর্ষণীয় পেশাগত জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করতে পারেন না। আর তাই আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি সিভি বিল্ডার সুবিধা চালু করা হয়েছে। নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য চ্যাটবটকে জানালেই মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করে দেবে সিভি বিল্ডার। চ্যাটবটের মাধ্যমে তৈরি জীবনবৃত্তান্ত পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করা যাবে।

আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে প্রবেশ করে সিভি বিল্ডার সুবিধাটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে যাঁদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম, তাঁরা সহজে মানসম্পন্ন পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করতে পারবেন, যা তাঁদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে।

আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক বলেন, ‘সিভি বিল্ডার সুবিধাটি জীবনবৃত্তান্ত তৈরি অনেক সহজ করে দিয়েছে। বাংলায় মেশিন লার্নিং চ্যাটবটের সঙ্গে চ্যাট করে যে কেউ এখন নিজের জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করতে পারবেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ বনব ত ত ন ত ত র প ল য টফর ম চ য টবট প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ