সাবেক ভূমিমন্ত্রীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 22nd, June 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, সাইফুজ্জামানের সন্তান তানায়েম জামান চৌধুরী, সাদাকাত জামান ও মেয়ে জেবা জামান।
অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো.
আবেদনে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাত সদস্যের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করতে পারেন মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ইফ জ জ ম ন চ ধ র দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ দ শত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁচানো গেল না আহত নবজাতককে
পৃথিবীর আলোতে আসার এক দিনের মাথায়ই মারা গেছে সেই নবজাতক। বরগুনার আমতলীতে শনিবার দুপুরের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল সে। ওই দুর্ঘটনায় তার মা মোসাদ্দিকা বেগম, নানা আব্দুল আজিজ খান ও দাদি খালেদা বেগম মারা যান। শনিবার রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে এ নবজাতক।
আব্দুল আজিজ খান আমতলীর মধ্য সোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়ে মোসাদ্দিকা তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় নবজাতককে পটুয়াখালী নেওয়ার পরামর্শ দেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি কেওয়াবুনিয়া হাই স্কুলের উত্তর পাশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পেছন থেকে ঢাকাগামী ইকরা লাক্সারি লিমিটেডের বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৮৯৫৩) ধাক্কায় সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আজিজ খান ও খালেদা বেগম প্রাণ হারান। হাসপাতালে মারা যান মোসাদ্দিকা।
গুরুতর আহত হন মোসাদ্দিকার স্বামী মো. জাহিদুল ইসলাম, তাঁর নবজাতক মেয়ে ও অটোরিকশাচালক মো. আব্দুল হক। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। সেখানেই নবজাতক মারা যায়। ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. ওয়াহিদ শামীমের ভাষ্য, শিশুটি দুর্ঘটনায় মাথা-মুখসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত পায়। দীর্ঘ সময় পানিতে পড়ে থাকায় শরীরের তাপমাত্রাও কমে গিয়েছিল। আইসিইউতে রাখা হলেও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।
ঝরল আরও সাতজনের প্রাণ
রোববার গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার টুকুবাজারে প্রাণ যায় সরোয়ার খাঁ (৯০) নামের এক ব্যক্তির। শনিবার রাত ১২টার পর একই মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে দুটি দুর্ঘটনায় নিহত হন বিপুল কুমার পাল (৫২) ও শাওন শেখ (১৮)।
এদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কনটেইনারবাহী লরির পেছনে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ গেছে ড্রাম ট্রাকের চালক ও সহকারীর। রোববার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠাকুরদিঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ট্রাকের চালক ফারুক হোসেন (৪০) ও সহকারী ররিউল ইসলাম (৩৫)।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা একটি বাসে চারটি গাড়ি ধাক্কা খেলে প্রাণ যায় দু’জনের। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের বাগুন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল।