চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচিতে রয়েছে- জনসচেতনতা সৃষ্টি, রোগের বাহক নির্ণয় করে বিয়েতে নিরুৎসাহিত করা ও আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে শতভাগ বাহক নির্ণয় সম্পাদন করা। ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির সহযোগিতায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফের হলরুমে কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। এতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারি, শান্তা গ্রুপের সিইও জাহিদ হাসান, সোহেল চৌধুরীসহ মাইজভান্ডারি ব্লাড ডোনার্স গ্রুপের বিভিন্ন সংগঠক। অন্যদিকে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের পক্ষে সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা.

এম এ খান, সভাপতি ড. এম, এ মতিন, চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কবিরুল ইসলাম লাবু, পেশেন্ট মেনেজমেন্ট অফিসার আরিফুল রহমান হিমেল ও নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপজেলার  ১৮টি ইউনিয়ন থেকে বাহক নির্ণয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ, দুপুর আড়াইটায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফ ময়দানে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি   


 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ