বক্তব্য–মন্তব্যের ক্ষেত্রে জামায়াত নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে
Published: 16th, May 2025 GMT
কোনো বিষয়ে কথা বলা, বক্তব্য দেওয়া বা মন্তব্য করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ব্যাপারে দলের দায়িত্বশীলদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো উসকানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ানো একেবারেই ঠিক হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
এই বৈঠকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমিরেরা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং জামায়াতের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঐক্য বুকে ধারণ করে মানবিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
দলের নেতাদের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, দেশের প্রতিটি ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো কথা এবং বক্তব্য বা মন্তব্য করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো উসকানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ানো একেবারেই ঠিক হবে না। সর্বোপরি সব শ্রেণি–পেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে মানবিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল