নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আরো দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালত এ নির্দেশ দেন। এ সময় কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন আইভী। 

 

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক কারাগারে

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামি মাদারীপুরে গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মিনারুল হত্যা মামলায় গত ৯ মে ভোরে গ্রেপ্তার হন আইভী।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.

কাইয়ুম খান জানান, শুনানি শেষে সিদ্ধিরগঞ্জের দুইটি মামলায় আইভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে কোর্টে আনা হয়নি। কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

আইভীর আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, “আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে আরো দুই মামলায় তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এ দুটি মামলাসহ আইভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত আরো পাঁচটি মামলা শ্যোন অ্যারেস্টের আর্জি করি। দায়েরকৃত সব মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো না পর্যন্ত পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছি না।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের দেওভোগ এলাকায় তার নতুন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। খবর পেয়ে আইভীর সমর্থকরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাড়িটির সামনে অবস্থান নেন এবং দুইটি সড়কের ১০-১৫টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে অবরোধ করেন। শুক্রবার ভোর পৌঁনে ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একইদিন সকাল ১০টার দিকে আদালতে হজির করা হলে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ এর বিচারক মো. মাঈনউদ্দিন কাদির।  পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়।

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র য়ণগঞ জ আইভ ক

এছাড়াও পড়ুন:

এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট

বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন এক আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ শনিবার রিটটি দায়ের করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে আজ তৃতীয় দিনেও চলছে কলমবিরতি৩ ঘণ্টা আগে

সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল, ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং ২৯(১) অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।

রিটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করেই তড়িঘড়ি করে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। অধ্যাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনসংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আদেশ (রাষ্ট্রপতির) বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হলে যথাযথ ন্যায্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। রাজস্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্ত, গঠিত হচ্ছে দুই সংস্থা ১৩ মে ২০২৫

জুয়েল আজাদ আরও বলেন, অংশীজনেরা এ বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। তবে প্রস্তাবগুলো কী ছিল, তা প্রকাশ না করেই অধ্যাদেশ জারি করা সমীচীন হয়নি। বিগত বছরগুলো এনবিআর যথাযথভাবেই তাদের কাজ করেছে। তাই এটি বিলুপ্ত না করে সংস্কার করা যেত।

একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিলুপ্ত করতে যাওয়া সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ ‘সমর্থন করে না’ উল্লেখ করে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, এখন দুটি বিভাগের শীর্ষ পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার থেকে পূরণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে এনবিআরের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ সমর্থন করে না। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনএনবিআর ও আইআরডি বিলুপ্ত করে হচ্ছে দুটি বিভাগ, কী হবে তাদের কাজ১৩ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রী কারাগারে
  • ৪০ রোহিঙ্গাকে আটকের পর সাগরে ফেলে দিয়েছে ভারত
  • এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট
  • ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নয় আছিয়ার মা
  • তিন আসামির খালাসের রায়ে সন্তুষ্ট নন শিশুটির মা
  • আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি ২৬ মে পর্যন্ত মুলতুবি
  • হার্ভার্ডের রাশিয়ান বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে জীবজ সামগ্রী পাচারের অভিযোগ
  • জামায়াতের নিবন্ধন ফেরানোর আপিলের রায় ১ জুন
  • ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনের শুনানি ১৯ মে