প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চায় ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন
Published: 17th, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শমূলক আলোচনা করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে পুনরায় চিঠি দিরেয়ছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার (১৭ মে) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল পরামর্শমূলক আলোচনায় বসার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি ছিলেন সংগঠনটি সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে শাইনপুকুর সিরামিকস
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শমূলক আলোচনা করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে পুনরায় চিঠি প্রদানের বিষয়টি রাইজিংবিডি ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েসনের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র নুরুল ইসলাম মানিক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে চরম নাজুক অবস্থায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেই প্রত্যাশা চরমভাবে হতাশায় পর্যবেশিত হয়েছে।দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড পুঁজিবাজার আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও অংশীজনের জীবন রক্ষার্থে আপনার সাথে পরামর্শমূলক আলোচনার জন্য অধীর আগ্রহ ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সাথে অপেক্ষমান বিনিয়োগকারীদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল আপনার দপ্তরে এ বিষয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় পুনরায় আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম। আপনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাম্য হত্যা: ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় উপাচার্যের বাসভনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাবি শাখা ছাত্রদলের এ নেতার হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় সংগঠনটি।
পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও সংগঠনটির মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা 'আমাদের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যম্পাস', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'ফাঁসি ফাঁসি চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই', 'খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই', 'সাম্য ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেত দেব না', 'ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে'সহ নানা স্লোগান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “আমরা দেখেছি, আমাদের ছোট ভাই সাম্যকে কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়, তা আমাদের প্রশ্ন।”
তিনি বলেন, “আমরা ভিসিকে কয়েকবার ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার জন্য স্বারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। ক্যাম্পাসে ৫ আগস্টের আগের কয়েক বছরে একটিও খুনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ৯ মাসে কীভাবে দুটি হত্যা হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া আজকের মধ্যে প্রক্টরকে আর তার পদে দেখতে চাই না। সেই সঙ্গে ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।”
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এখনও খুনি হাসিনার দোসররা অবস্থান করছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছিলাম, আপনারা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন। কিন্তু তারা করেনি। তারই ফল, আমার ভাই সাম্য হত্যা।”
তিনি বলেন, “যারা ৯ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস করতে পারেননি, তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।”
গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে।
গতকাল ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা