বগুড়া নেকটারে শিক্ষকদের আইসিটি প্রশিক্ষণ, মেয়াদ ৩০ দিন
Published: 18th, May 2025 GMT
বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি মাদ্রাসা, কারিগরি ও মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক (এমপিওভুক্ত) পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক (আইসিটি) প্রশিক্ষণ দেবে। এ আবেদন করতে হবে শিক্ষকদের।
প্রোগ্রামের বিবরণ
১. প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২.
৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করে প্যানেল থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি বিষয়ে ডিপ্লোমা, ভর্তির শেষ সময় ২৪ মে১৭ মে ২০২৫
ব্যাচ ও প্রশিক্ষণের সময়
১. ব্যাচ নম্বর: ৫৪তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ০৬/০৭/২০২৫ থেকে ০৪/০৮/২০২৫।
২. ব্যাচ নম্বর: ৫৫তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ১০/০৮/২০২৫ থেকে ০৯/০৯/২০২৫।
৩. ব্যাচ নম্বর: ৫৬তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ১৪/০৯/২০২৫ থেকে ১৩/১০/২০২৫।
৪. ব্যাচ নম্বর: ৫৭তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ১৯/১০/২০২৫ থেকে ১৭/১১/২০২৫।
৫. ব্যাচ নম্বর: ৫৮তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ২৩/১১/২০২৫ থেকে ২২/১২/২০২৫।
৬. ব্যাচ নম্বর: ৫৯তম, কোর্সের মেয়াদকাল: ২৮/১২/২০২৫ থেকে ১৬/০১/২০২৬।
ভর্তির বিস্তারিত তথ্য
১. ইতিমধ্যে যাঁরা বগুড়া নেকটার থেকে ৩০ দিন মেয়াদি আইসিটিবিষয়ক কোর্স সম্পন্ন করেছেন (২০১৬-১৭ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত) তাঁদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
২. আবেদনকারী প্রার্থীকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছ থেকে সুপারিশ গ্রহণ করে আবেদন করতে হবে।
৩. গর্ভবতী নারী, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতাসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ৫২ বছরের ঊর্ধ্বে প্রার্থীদের আবেদন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ: ০৩ জুন ২০২৫।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন, তথ্য গোপন, অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শাহেদ আলম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তথ্য গোপন করে বেসরকারি পাসপোর্ট (নং A০১২৬৬৬১২) সংগ্রহ করেছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে কানাডা সফর করেছেন, যার কোনো অনুমোদন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেননি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৯ জুন কানাডা সফরের সময় তিনি প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গোলাম কিবরিয়া নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে কানাডায় সেকেন্ড হোম এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করেছেন। তার নামে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পাচারের দুর্নীতির মামলাও চলমান রয়েছে। এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো পদে বহাল থেকে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী বলেন, “তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার সরাসরি লঙ্ঘন এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
সূত্র জানায়, গোলাম কিবরিয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। তিনি দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডায় স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। গাজীপুরবাসীর স্বার্থে এমন বেপরোয়া ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “লিখিত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে। প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তথ্য গোপন করে বিদেশ যাত্রা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, প্রমাণ মিললে বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে শোকজ করা হয়েছিল এবং তিনি জবাবও দিয়েছেন। শোকজের প্রতিবেদনটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।”
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/এস