বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হলো কুয়েতের ভিসা
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশিদের জন্য কুয়েতের ভিসা আরো সহজ করা হয়েছে। এখন বিশেষ অনুমতি (লামনা) ছাড়াই কুয়েতে ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা।  
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য কুয়েতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, সতর্কতা ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণই হতে পারে নিরাপদ অভিবাসনের মূল চাবিকাঠি।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশিরা লামনা ছাড়াই কুয়েতের ভিসা পাচ্ছেন। তবে, ভিসা-সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—দূতাবাসের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, কুয়েত প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিশিষ্টজনেরা।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “যেসব ভিসা আমরা সত্যায়িত করি, সেসব ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূতাবাসের চুক্তি থাকে। আমরা নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশি কর্মীরা কুয়েতে আসার পর তাদের বেতন, থাকা, চিকিৎসা ও ছুটি সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে থাকবে।”
দালালের মাধ্যমে বিদেশে না গিয়ে দূতাবাস নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেছেন, “দালালদের মাধ্যমে না এসে, দয়া করে সঠিক ও বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা গ্রহণ করুন। এতে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং কুয়েতে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে।”
ভিসা নিতে যেসব বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন: কুয়েত দূতাবাসের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে না। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির তথ্য যাচাই করতে হবে। বেতন, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”
তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”
“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”
তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”
সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
ঢাকা/ইভা