বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বাংলাদেশ সরকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করাসহ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ সব সময় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও শ্রমবিধি-২০১৫ (বিধি-৫৫, উপ-বিধি ১০ ও ১২) এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত আয়োজন হিসেবে ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে দুই দিনব্যাপী (১৭ ও ১৮ মে) ‘অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজুর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মোল্লা সেকেন্দার আলী, ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর, টঙ্গী ও মো. মইনুর ইসলাম ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর, সারাবো, গাজীপুর। এছাড়াও ছিলেন কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের অন্যান্য প্রশিক্ষক।  

কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে (যেমন: আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদ রক্ষা, প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, কর্মীদের মনোবল উন্নত করা ইত্যাদি) আলোকপাত করা হয়। সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার জন্য মূল তিনটি অংশে (অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা) ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ শেখানো হয়।

জ্যৈষ্ঠ মাসে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি। চারপাশে পরিবেশ  শুষ্ক এবং রুক্ষ। এই উষ্ণ পরিবেশেই অগ্নিদুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে এই সময়ে। জ্যৈষ্ঠ মাসে বাতাস গরম থাকে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই, সতর্কতা জরুরি। 

ওয়ালটন প্রতিনিয়ত সব সদস্যকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে আপডেট রাখতে প্রস্তুত। প্রশিক্ষণ শেষে সব পরীক্ষা ও গ্রুপ টাস্কে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. ইশাদুল ইসলাম।

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আজ যারা উপহাস করে, ভবিষ্যতে তারাই ভক্ত’

ক্যারিয়ারে বারবার হোঁচট খেয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আরশ খান। অনেকের উপহাসের পাত্রও হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি। নিজেকে গড়তে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সেই চেষ্টা এখনও চলমান। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। তবে এগুলো মাথায় না নিয়ে ছুটে চলছেন আপন গতিতে।

এসবের মাঝে আজ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন আরশ। সেখানে উপহাসের কথা বলেছেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ টেনেছেন শাকিব খানকে। অন্য কারও উদাহরণ না দিয়ে নিজের সঙ্গেই উদারণ দিয়ে একরকম শিক্ষার বানী শুনিয়েছেন আরশ।

তিনি লিখেছেন, ‘উপহাসে আমার এখন আর খারাপ লাগেনা, কষ্ট হয় না। কারণ, শাকিব খান নামটা শুনলে এক সময় মজা করা আমি আজ লাইনে দাঁড়িয়ে তার সিনেমার টিকিট কাটি।’

শেষে অভিনেতা লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন, আজ যারা আপনাকে নিয়ে উপহাসের হাসি হাসে, ভবিষ্যতে তারাই আপনার ভক্ত।’

এর আগে গেল বছর মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আরশ খন। এখানে তিনি ছিলেন শাকিব খানের বাবা আব্দুল গনি চরিত্রে (ছোটবেলার)। এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আরশ খান।

প্রসঙ্গত, গেল মাসেই একটি অনুষ্ঠানে নিজের কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র (জগৎ) সত্যি অনেক রং দেখিয়েছে। একসময় যখন সত্যিই খুব হতাশ হয়ে যেতাম। ভাবতাম, সত্যিই হয়তো বা আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। আপনাদের হয়তো কারও কারও মনে থাকতে পারে, কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে যখন এসেছি কিছু কারণে অনেক কাছের মানুষকেও বলতে শুনেছি, “তোমার দিন শেষ শাকিব, ইউ আর ডেড হর্স।” নিজের চেনা মুখগুলোকেই পাল্টে যেতে দেখেছি। অবাক হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। ভেবেছি হয়তো এখানেই শেষ। ইতি টানতে হবে। আবার ভেবেছি, যাওয়ার আগে একটা ট্রাই (চেষ্টা) তো করে যাই। এত বছর ধরে মানুষ আমাকে এত ভালোবাসল, একটা ট্রাই করে যাই। না হলে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব চলচ্চিত্র। শূন্য হাতে এসেছিলাম, যা পেয়েছি তা অনেক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ