ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে দুই দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তা প্রশিক্ষণ
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বাংলাদেশ সরকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করাসহ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ সব সময় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও শ্রমবিধি-২০১৫ (বিধি-৫৫, উপ-বিধি ১০ ও ১২) এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত আয়োজন হিসেবে ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে দুই দিনব্যাপী (১৭ ও ১৮ মে) ‘অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো.
কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে (যেমন: আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদ রক্ষা, প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, কর্মীদের মনোবল উন্নত করা ইত্যাদি) আলোকপাত করা হয়। সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার জন্য মূল তিনটি অংশে (অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা) ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ শেখানো হয়।
জ্যৈষ্ঠ মাসে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি। চারপাশে পরিবেশ শুষ্ক এবং রুক্ষ। এই উষ্ণ পরিবেশেই অগ্নিদুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে এই সময়ে। জ্যৈষ্ঠ মাসে বাতাস গরম থাকে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই, সতর্কতা জরুরি।
ওয়ালটন প্রতিনিয়ত সব সদস্যকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে আপডেট রাখতে প্রস্তুত। প্রশিক্ষণ শেষে সব পরীক্ষা ও গ্রুপ টাস্কে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. ইশাদুল ইসলাম।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী