সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১১ গ্রাম
Published: 18th, May 2025 GMT
রৌমারীতে অতিবৃষ্টিতে জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র স্রোতে বাঁশ ও কাঠের একটি সাঁকো ভেঙে গেছে। এ কারণে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১১টি গ্রাম। গত শনিবার দুপুরে যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া এলাকায় ভেঙে যায় সাঁকোটি।
গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে ২০২৪ সালে জিঞ্জিরাম নদীর ওপরে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় সাঁকোটি। যা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নড়বড়ে হয়ে যায়। এর পরও সাঁকোটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলেন ১১ গ্রামের মানুষ। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে গ্রামগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
বকবান্ধা এলাকার সবুজ মিয়া, খেওয়ারচর এলাকার হায়দার আলী, লালকুড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম জানান, লালকুড়ার জিঞ্জিরাম নদীর ওপর সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় ২০২৪ সালে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে গেছে। এতে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তাদের।
যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, জিঞ্জিরাম নদীর পানির তীব্র স্রোতে শনিবার দুপুরে ভেঙে যায় কাঠের সাঁকোটি। এতে উপজেলা সদরে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
রৌমারীর ইউএনও উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, সাঁকোটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নদ জ ঞ জ র ম নদ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ