আজকাল সারাবছরই বিট পাওয়া যায়। এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, কমবেশি সবারই এটা জানা।  বিটে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ, প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের জন্যেও উপকারী।

নিয়মিত বিটের রস খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন-

১.

বিটের রস বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। নিয়মিত অল্প করে বিটরুট জুস খেলে শরীরের ভিতরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যাবে। বডি ডিটক্স হয়ে গেলে কিডনি, লিভার ভালো থাকবে। 

২. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে বিটের রস। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। 

৩. লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে বিটের রস। নিয়মিত বিটের রস খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়। খাবার ভালোভাবে হজম হলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস এইসব সমস্যা দেখা দেবে না।

৪. বিটের রস ওজন কমাতেও ভালো কাজ করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পারেন। 

৫. বিটের রসে সামান্য পরিমাণে ক্যালোরি আর ভরপুর নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। রোজ অল্প করে এই রস খেলে সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

৬.বিটের রস খেলে সারাদিনের শক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত এই রস খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার-ডায়াবেটিসের মাত্রা। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো রাখে হৃৎপিণ্ড। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।হা
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ট র রস খ রস খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ পোশাক পরে মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুন লাগা রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের দুজন সদস্য। এ জন্য তাঁরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক (কেমিক্যাল স্যুট) পরছেন।

শিয়ালবাড়ির এই গুদামে গতকাল মঙ্গলবার লাগা আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুদামটি টিনশেড দোতলা। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। লাশগুলো চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। এখানে প্রবেশ করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে ঢোকার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরতে হচ্ছে।

যে ভবন ও গুদামে গতকাল আগুন লাগে, তার আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানা আজ সকালে খোলা হয়েছিল।

গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ায় কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস মাইকিং করে কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

রূপনগর থানাধীন শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আর এন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটি চারতলা হলেও ছাদে টিনশেড দিয়ে আরও একটি তলা করা হয়েছে। এই ভবন এবং টিনশেডের রাসায়নিক গুদামে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ভবন ও গুদাম কোনোটিরই ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো যায়নি। ফলে সেখানে কোনো লাশ আছে কি না, ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ