রাজশাহীর মোহনপুরে জমিজমার সালিস চলার সময় দেশি অস্ত্র, ককটেলসহ ছয়জনকে আটক করেন এলাকার লোকজন। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে এ সালিসের আয়োজন করা হয়েছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গিয়ে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আলিফ হোসেন (১৯), রাজশাহী নগরের নওদাপাড়া মহল্লার শাহিনুর রহমানের ছেলে সোহাগ আহমেদ (২৯), শালবাগান এলাকার বাবলার ছেলে বাপ্পি (৩০) ও পাপ্পু (২৮), মনসুর রহমানের ছেলে মিনহাজুল ওরফে সোহান (২৬) ও পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মোর্তুজা (২৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানাবাদ ইউনিয়নের কোটালিপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কৃষক রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিষটি নিষ্পত্তির জন্য গতকাল দুপুর ১২টার দিকে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদসহ কয়েকজন সালিসে বসেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ কম্পাউন্ডের ভেতর দুটি মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্র ও স্কুলব্যাগে ককটেল পাওয়া যায়। তাঁদের ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ আসে।

আজ শুক্রবার মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, দেশি অস্ত্রসহ ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ককটেল নিরাপদে সরিয়ে নেয়। পরে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছিল। গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (৫ জুলাই) ভোর আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৩৩৬/৬-এস সীমান্ত পিলার বরাবর ভারত থেকে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এ সময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) টহল দল তাদেরকে আটক করে।

শনিবার দুপুরে ৪২ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটক ছয়জনের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন মহিলা ও দুজন শিশু। তারা হলেন—নড়াইলের কালিয়া থানাধীন কালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. সজীব হোসেন (৩০), সজীবের স্ত্রী মোছা. খাদিজা খাতুন (৩০), তাদের সন্তান মো. ইয়ানুর ইসলাম (৮) ও মোছা. সাদিয়া খাতুন (১) এবং একই এলাকার সাতবাড়ীয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে মো. ইকরাম মোল্লা (৩১) ও মেয়ে মোছা. কহিনুর বেগম (৩০)।

আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা প্রায় বছরখানেক আগে দালালের সহায়তায় কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আট-দশ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং গত ৪ জুলাই সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। শনিবার ভোরে বিএসএফ তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।

ওই ছয়জনের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

ছয়জনকে ঠেলে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ রোধে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। 

সীমান্তে মানবপাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি। 

ঢাকা/হিমেল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ