দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখন বড় চ্যালেঞ্জ পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া। একদিকে বেড়েছে ব্যাংকঋণের সুদহার, অন্যদিকে কমেছে পণ্যের কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্যের মধ্যকার ট্যারিফ বা কর ব্যবধান। সেই সঙ্গে জ্বালানি খরচও গত দু-তিন বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এসব কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে যে পরিমাণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, সেই তুলনায় পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কারণ, কয়েক বছর ধরেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পণ্যের দাম বাড়াতে গেলে ব্যবসায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 

ব্যাংক খাতে একদিকে সুদহার বেড়েছে, অন্যদিকে ঋণের মেয়াদও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় কম। বর্তমানে মূলধনি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ পাঁচ থেকে ছয় বছর। অথচ ভারতসহ আমাদের প্রতিযোগী অনেক দেশে মূলধনি বিনিয়োগের ক্ষেত্র তুলনামূলক কম সুদে ১২ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ পাওয়া যায়। উচ্চ সুদে কম মেয়াদি ঋণ নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে গেলে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এসব কারণে বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পোদ্যোগ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে বাজেট সামনে রেখে সরকারের কাছে আমাদের অন্যতম প্রত্যাশা, যতভাবে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সবগুলোরই প্রতিফলন যেন বাজেটে থাকে। কর কমানো থেকে শুরু করে নীতি সহায়তা, ব্যাংকঋণের সুদ কমানোর ঘোষণা দেখতে চাই আমরা বাজেটে। কারণ, নতুন বিনিয়োগ দূরে থাক, বিদ্যমান শিল্প টিকিয়ে রাখা এখন উদ্যোক্তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে আমরা করসুবিধার পাশাপাশি নীতির ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। 

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নীতির ধারাবাহিকতা, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, সর্বক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সরকারি সেবাপ্রাপ্তির সহজীকরণ ও সবখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ের উন্নতি না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়বে না। যখন কোনো বিনিয়োগকারী বা উদ্যোক্তা কোনো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি সরকার ঘোষিত নীতির ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আমাদের দেশে নীতির ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা যায়। আগামী বাজেটে আমরা সেই ধরনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে চাই না। 

দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখে আসছি, এ দেশে নীতি সিদ্ধান্ত ও কর সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। পোশাকের সংযোগ শিল্পের ক্ষেত্রে সুবিধা কম। তাই সরকারি নীতিনির্ধারণ ও সুবিধার ক্ষেত্রে শুধু পোশাকনির্ভর না হয়ে অন্যান্য খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ