নাটকের শুটিংয়ে কুমিল্লায় গিয়ে তিশার সঙ্গে প্রেম গভীর হয়, জানালেন ফারুকী নিজেই
Published: 26th, May 2025 GMT
ভালোবেসে বিয়ে করেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। সেটা ২০১০ সালের জুলাইয়ের কথা। এর প্রায় ১৫ বছর পর এসে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ফারুকীর মুখে জানা গেল, এই তারকা দম্পতির প্রেমের গভীরতা শুরু হয়েছিল কুমিল্লায়; একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে।
কুমিল্লায় গতকাল রোববার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ছিল। বিকেলে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় জাতীয় কবির প্রেমের স্মৃতি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি নিজের প্রেমের প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘কুমিল্লার সঙ্গে আমার গভীর প্রেম। আপনারা জানেন আমি কুমিল্লায় বহুবার শুটিং করতে এসেছি। আমার প্রেম মানে আমি যাকে বিয়ে করেছি পরে, তিশা (নুসরাত ইমরোজ তিশা); আমার প্রেমের গভীরতা শুরু হয় কুমিল্লাতে। “ক্যারাম” নামে একটি প্রোডাকশন করতে এসে। কুমিল্লাতে যে শুধু নজরুলের প্রেমের স্মৃতি আছে তা নয়, নজরুলের ছোট ভাইদেরও প্রেমের স্মৃতি রয়েছে।’ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কুমিল্লায় যখনই শুটিং করতে আসতাম, কোন কোন জায়গায় নজরুলের স্মৃতি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতো।’
নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরয় র ফ র ক নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাকসুর জন্য স্থায়ী মার্কার আমদানি, থাকবে থ্রিডি নিরাপত্তা’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট এবং হল সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আঙ্গুলে কালো দাগ দেওয়ার জন্য স্থায়ী মার্কার আমদানি করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচনে ‘থ্রি ডাইমেনশন’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে সেগুলো পার করে যেতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনে থাকছে না অতিরিক্ত ব্যালট পেপার
রাকসুতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি ডাকসু, জাকসুতে আঙুলের কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই আমরা রাকসু নির্বাচনের জন্য পারমানেন্ট মার্কার আমদানি করেছি। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। নির্বাচনে আমরা ‘থ্রি ডাইমেনশন’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেককে সেগুলো পার করে যেতে হবে। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “যদি আমাদের কোনো ভোটারকে সন্দেহ হয়, সে ক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যানেরের মাধ্যমে সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। এছাড়া স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। সবকিছু এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি আমরা।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২১২ জন শিক্ষকদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষকে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারাই এই ভোট পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী