চিয়া পুডিং বানাতে লাগবে চিয়া সিড ও তরল দুধ। চিয়া সিড কিছুক্ষণ পানিতে রাখলেই নরম হয়ে যায় ও পুডিংয়ের মতো ঘন হয়ে আসে। চাইলে এতে খেজুর, ফল বা ফারমেন্টেড নারকেল দুধ যোগ করে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়। চিয়া পুডিংয়ে পাবেন ওমেগা-৩, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নানান ভিটামিন ও খনিজ। চিয়া বীজ হজমে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায়, হরমোন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নারকেল দুধ শক্তি দেয়, মস্তিষ্কের পুষ্টি বাড়ায় ও শরীরকে হাইড্রেট রাখে। খেজুর প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ দেয় এবং হাড় ও ত্বকের জন্য উপকারী। ফারমেন্টেড নারকেল দুধ অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে ইমিউন সিস্টেম ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

চিয়া পুডিং সকাল–বিকেল যেকোনো সময় খাওয়া যায়। পাশাপাশি হালকা মিষ্টি হিসেবেও খাওয়া যায়, যা সুস্থতার সঙ্গে স্বাদেরও চমৎকার সমন্বয়। চিয়া পুডিংয়ের ছয়টি উপকারিতা জেনে নিন—

মানসিক ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে

চিয়া পুডিং শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শক্তির উৎস। এর প্রোটিন, ফ্যাট ও ফাইবার—এই তিন পুষ্টিগুণ একসঙ্গে থাকে। এসব একযোগে কাজ করে এবং আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শক্তি জোগায়। চাইলে আপনি চিয়া পুডিংয়ের সঙ্গে নারকেল দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। কারণ, নারকেল দুধ এমসিটি (মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস) নামে একধরনের ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্ক খুব সহজে কাজে লাগাতে পারে। এমসিটি অন্যান্য ফ্যাটের মতো হজম হয় না, তাই অন্যান্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের তুলনায় এই ফ্যাট মস্তিষ্ককে আরও কর্মক্ষম করে তোলে দ্রুততম সময়ে।

আরও পড়ুনযে ৭ কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি২৮ জানুয়ারি ২০২৫ওজন কমাতে সাহায্য করে

চিয়া পুডিংয়ের প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবারের ক্ষুধা নিবারণকারী। এসব ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরা রাখে। আদর্শ স্ন্যাকস হিসেবে এটা খেতে পারেন। কারণ, অল্প পরিমাণে (যেমন ১/৪ থেকে ১/২ কাপ) খেলেই এটা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে পারে। মিষ্টি খেতে মন চাইলেও এটা খেতে পারেন। কারণ, চিয়া পুডিংয়ে চিনির পরিবর্তে খেজুরও রাখা হয়।

সন্ধ‌্যায় আমাদের প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। কারণ, আমরা হয়তো সারা দিনে যথেষ্ট পরিমাণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করি না। চিয়া পুডিং অত‌্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় এটা সন্ধ্যার ক্ষুধায় হতে পারে দারুণ সমাধান। এভাবে চিয়া পুডিং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

মিষ্টি কিছু খেতে হলে চিয়া পুডিং খান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন রক ল দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ