ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গতকাল সোমবার পারমাণবিক আলোচনার সময় কোনো অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা অস্বীকার করেছে। খবর আনাদোলুর।

সোমবার (২৬ মে) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই তেহরানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রাখা হয়, তাহলে চুক্তি অর্জন করা সম্ভব। আমরা কখনো সামরিক পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করিনি।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানকে নিম্ন-স্তরের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি না যে এই ধরনের আলোচনা সফল হবে।”

আরো পড়ুন:

পুতিন পাগল হয়ে গেছেন: ট্রাম্প

হুমকি দিয়ে কোনো বাণিজ্য চুক্তি নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ইইউ

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও অস্বীকার করেছেন যে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি সহজতর করার জন্য তেহরান তিন বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখতে পারে।

মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, “না, আলোচনার টেবিলে এরকম কিছুই নেই।”

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মূল বিরোধ নিরসনে ওমান তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে। গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং এখন একটি ‘আরো ভালো’ চুক্তির চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক বোমা বানাতে দেবে না। 

আলোচনা শুরুর আগেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তেহরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে দেশটির ওপর মার্কিন সামরিক হামলা চালানো হবে। 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পাঁচ বার পরোক্ষভাবে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। উভয় পক্ষই ‘আলোচনাকে’ কার্যকর দাবি করেছে। তবে তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা চালিয়ে গেলেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ইরান।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অস্বীকার ইরানের

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গতকাল সোমবার পারমাণবিক আলোচনার সময় কোনো অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা অস্বীকার করেছে। খবর আনাদোলুর।

সোমবার (২৬ মে) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই তেহরানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রাখা হয়, তাহলে চুক্তি অর্জন করা সম্ভব। আমরা কখনো সামরিক পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করিনি।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানকে নিম্ন-স্তরের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি না যে এই ধরনের আলোচনা সফল হবে।”

আরো পড়ুন:

পুতিন পাগল হয়ে গেছেন: ট্রাম্প

হুমকি দিয়ে কোনো বাণিজ্য চুক্তি নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ইইউ

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও অস্বীকার করেছেন যে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি সহজতর করার জন্য তেহরান তিন বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখতে পারে।

মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, “না, আলোচনার টেবিলে এরকম কিছুই নেই।”

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মূল বিরোধ নিরসনে ওমান তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে। গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং এখন একটি ‘আরো ভালো’ চুক্তির চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক বোমা বানাতে দেবে না। 

আলোচনা শুরুর আগেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তেহরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে দেশটির ওপর মার্কিন সামরিক হামলা চালানো হবে। 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পাঁচ বার পরোক্ষভাবে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। উভয় পক্ষই ‘আলোচনাকে’ কার্যকর দাবি করেছে। তবে তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা চালিয়ে গেলেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ইরান।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ