ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও ৭২ প্রাণহানি
Published: 31st, May 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ৩২১ জন এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গাজায় আবারও দু’মাসের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নেতানিয়াহু সম্মতি দিলেও হামাস এখনো অনুমোদন করেনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ জ গণহত য ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ নিয়ে সংবাদের প্রতিবাদ সেনাবাহিনীর
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ ঘোষণা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নর্থইস্ট নিউজে প্রকাশিত ‘Bangladesh to declare Cox’s Bazar to Bandarban area as a Military Operations Zone’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ধরনের সংবাদ ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা।
আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে’– এই ধরনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা একেবারে ভিত্তিহীন, অসত্য এবং এক ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার। প্রমাণবিহীন এই ধরনের কল্পনাপ্রসূত সংবাদ একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বিভেদ উসকে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং সংবিধান রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সেনাবাহিনী কখনোই আপস করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। এই ধরনের বানোয়াট প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতা বলা যায় না; এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ। বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে এবং দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।