সিরাজগেঞ্জর উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল মোড় থেকে আরাফাত (৪০) নামে এক হোটেল শ্রমিকের মুখ থেঁতলানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইটের আঘাতে মুখমণ্ডল বিকৃত মরদেহটি শুক্রবার দুপুরে হাটিকুমরুল গোলচত্তরের ‘সওজ হাইওয়ে রেস্ট হাউজের’ পেছনের ফাঁকা স্থান জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরাফাত হোসেন (৪০) উল্লাপাড়ার চড়িয়া কালিবাড়ির সিল্কসিটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায় হলেও তিনি বিয়ের পর জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছিতে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন।

এদিকে, খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরাফাতের এক বন্ধুকে সন্ধ্যায় আটক করে ডিবি পুলিশ। ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, খুনের নেপথ্যে আরাফাতের স্ত্রীর সঙ্গে তার বন্ধুর প্রেমের পাশাপাশি চুরির টাকার ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বের বিষয় থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা ডিবি পুলিশের। তবে তদন্তের স্বার্থে আপাতত বন্ধুর নাম প্রকাশ করতে সম্মত হননি ডিবি পুলিশের ওসি মো.

একরামুল হক। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার ছায়া তদন্ত চলছে। খুনের নেপথ্যে আরাফাতের স্ত্রীর সঙ্গে তার নিকটতম বন্ধুর প্রেমের পাশাপাশি চুরিচামারির টাকাপয়সার নিয়ে ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বের বিষয় থাকতে পারে। সবকিছুই নিয়েই ছায়া তদন্ত চলছে।

সলঙ্গা থানার এসআই পুলক সরকার জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করার পর ময়নাতদেন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সলঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ছায়া তদন্তও করছে ডিবি পুলিশ।

এসআই পুলক আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হোটেলে কাজ করার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন আরাফাত। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা সংবাদ দেয়। তার মুখমণ্ডল ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ উল ল প ড় ল শ উদ ধ র আর ফ ত তদন ত মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আসামি গ্রেপ্তার
  • ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
  • চকরিয়ায় আসামি ছিনতাই, এসআই প্রত্যাহার
  • চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ায় এসআই প্রত্যাহার
  • পটিয়া থানার নতুন ওসি নুরুজ্জামান
  • ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন