Risingbd:
2025-06-21@15:42:48 GMT

নাটোরে ৬ ‘ডাকাত’ আটক

Published: 21st, June 2025 GMT

নাটোরে ৬ ‘ডাকাত’ আটক

নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ‘ডাকাত’ দলের ৬ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ হয়।

শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- গুরুদাসুপর উপজেলার সিরাজুল হকের ছেলে মো.

আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মো. কাওসার (২৫), আব্দুল আজিজের ছেলে মো. বিপ্লব মিয়া (২৪), মো. রওশন মিয়ার ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (২৪), মো. মোবারকের ছেলে মো. মবিদুল ইসলাম (২১) এবং সালাম আলীর ছেলে মো. সুরুজ আলী (২১)।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ে সেনা অভিযানে জাল ডলারসহ আটক ৬

পুলিশের ব্রিফিং
নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত

নাটোর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে বিয়াঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সেনা সদস্যরা চার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালান। তল্লাশির এক পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল এবং কয়েকটি ধারালো অস্ত্র জব্দ হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে আটক করে।

সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা স্বীকার করে- তারা অস্ত্রের মুখে ৮টি অটোরিকশা, ১২টি মোটরসাইকেল, ৯টি কোরবানির গরু ডাকাতি ও চাঁদা না দেওয়ায় ৬টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করতো বলে স্বীকার করেছে। ডাকাত দলের ৬ জনকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, “সেনাবাহিনী ৬ জনকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা প্রাথমিক জেনেছি, তারা ছিনতাইকারী। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চলছে। তদন্তে জানা যাবে তারা ডাকাত না ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আন্তঃসমন্বয় জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ বাঙালির প্রোটিনের অন্যতম উৎস। তাই ছোট মাছের বিলুপ্তি রোধে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএফআরআই) সচেষ্ট থাকতে হবে।

শনিবার বাকৃবির মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই ও মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই ও মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

ময়মনসিংহ বিএফআরআই আয়োজিত বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৪-২৫) পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৫-২৬) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদা আখতার। বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তাদের গবেষণা ও দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। তিনি এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন যা সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য এবং যার সুফল জনগণ সরাসরি ভোগ করতে পারবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কমিটিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে এবং জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার। সভাপতিত্ব করেন বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র। আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপ্রন্দ্রে নাথ বিশ্বাস। কর্মশালায় স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ